27/04/2024 : 2:33 PM
আমার দেশ

ভারতকে আত্মনির্ভর করে তুলতে ধূপকাঠি বানানোর জন্য শিল্পীদের সহযোগিতা কয়েকগুণ বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার

জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, দিল্লী, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০:


সংশ্লিষ্ট সবপক্ষের স্বার্থ সুরক্ষিত রেখে এক সুসংবদ্ধ প্রয়াসের অঙ্গ হিসাবে কেন্দ্রীয় অতিক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রক ধূপকাঠি শিল্প এবং ধূপকাঠি বানানোর কাজে যুক্ত শিল্পীদের সহায়তায় গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর নতুন নীতি-নির্দেশিকা জারি করেছে। মন্ত্রক গত ৩০শে জুলাই ধূপকাঠি শিল্প ও শিল্পীদের সহায়তায় যে কর্মসূচির সূচনা করেছে, তাতে শিল্প সংস্থাগুলির বিভিন্ন বিষয়ের সমাধানে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে, ধূপকাঠি বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র সরবরাহের পাশাপাশি, কাঁচামালের যোগান ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত তথ্য সরবরাহের বিষয়গুলিকেও কর্মসূচিতে সামিল করা হয়েছে।উল্লেখ করা যেতে পারে, গত এক বছরে দেশে ধূপকাঠির চাহিদা লক্ষ্যণীয় হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

নতুন এই কর্মসূচির মূল চারটি স্তম্ভ হ’ল –

• শিল্পীদের প্রশিক্ষণ, কাঁচামাল, বিপণন ও আর্থিক সুবিধার মাধ্যমে নিরন্তর সাহায্য দেওয়া।

• ধূপকাঠির সৌরভ ও প্যাকেজিং সহ বিকল্প কাঁচামাল যেমন – পুনর্ব্যবহারযোগ্য ফুল, কয়্যার পিচ, বাঁশের কাঠির মতো ক্ষেত্রে আরও সৃজনশীলতা আনার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে মন্ত্রক ইতিমধ্যেই কনৌজে ফ্লেবার অ্যান্ড ফ্রেগন্যান্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে।

• মন্ত্রকের পরম্পরাগত শিল্পের পুনরুজ্জীবনের জন্য তহবিল কর্মসূচির আওতায় বিপণনের সুবিধা সহ ১০টি ক্লাস্টার স্থাপন করা হচ্ছে। ধূপকাঠি শিল্প ও শিল্পীদের স্বার্থে এ ধরনের শিল্প ক্লাস্টারগুলি গড়ে তুলতে প্রায় ৫০ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। ক্লাস্টারগুলি পুরোদমে চালু হলে প্রায় ৫ হাজার ধূপকাঠি শিল্পীর স্থায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে এবং তাঁদের উপার্জন বাড়বে।

• দেশে ধূপকাঠি বানানো যন্ত্রের উৎপাদনের ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জনে আইআইটি এবং এনআইটি-গুলির সহযোগিতায় উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। এই খাতে খরচ ধরা হয়েছে ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা।

গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর ঘোষিত এই কর্মসূচির ফলে পূর্বের ২০০টির পরিবর্তে এখন থেকে ক্লাস্টারগুলিতে ৪০০টি স্বয়ংক্রিয় ধূপকাঠি বানানোর যন্ত্র দেওয়া হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি এবং ব্যক্তি-বিশেষ এই যন্ত্র কাজে লাগাতে পারবেন। এদিকে ধূপকাঠি উৎপাদনের দিক থেকে ভারতকে আত্মনির্ভর করে তুলতে কর্মসূচির আওতায় আর্থিক সুযোগ-সুবিধার পরিমাণ বাড়িয়ে ৫৫ কোটি টাকার বেশি করা হয়েছে। এই অর্থ প্রায় ১ হাজার ৫০০ শিল্পীকে আর্থিক সহায়তা দিতে, ২টি উৎকর্ষ কেন্দ্র স্থাপনে এবং কনৌজে সুগন্ধী গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনে খরচ করা হবে। এছাড়াও, আরও ৫ হাজার শিল্পী এই কর্মসূচির মাধ্যমে লাভবান হবেন। মন্ত্রকের অধীনস্ত স্বশাসিত সংস্থা খাদি ও গ্রামোদ্যোগ কমিশন ধূপকাঠি শিল্পী ও শিল্প সংস্থাগুলির সার্বিক উন্নয়নে এই কর্মসূচি রূপায়ণ করবে।

Related posts

কৃষিভিত্তিক ব্যবসার উদ্যোগ পূর্ব বর্ধমানে

E Zero Point

১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কোভিড মুক্ত হয়ে ওঠার হার জাতীয় হারের থেকে বেশী

E Zero Point

জীবন-জীবিকার সুযোগ-সুবিধা সহ গরীব কল্যাণ রোজগার অভিযানের মাধ্যমে গ্রামবাসীদের ক্ষমতায়ন

E Zero Point

মতামত দিন