জিরো পয়েন্ট নিউজ – সত্যনারায়ন সিকদার, মেমারি, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০:
বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে একেবারে সামনের সারিতে থেকে অতি মারি করোনার বিরুদ্ধে মোকাবিলা করছে পুলিশ প্রশাসন ও সিভিক ভলেন্টিয়ার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মী ও আশা প্রকল্পের আশা কর্মীরা। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে সিভিক ভলেন্টিয়ার ও আশা কর্মীদের অবসরের সময়ে এককালীন তিন লক্ষ টাকা প্রদান করা হবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। একেবারে সামনের সারির যোদ্ধা হিসেবেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে আশা কর্মীদের। গ্রামাঞ্চলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁরা করোনা সংক্রমণ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করছেন। যাতে কোনও ধরনের জ্বর কিংবা করোনা উপসর্গ দেখা দিলেই এলাকার মানুষজন যাতে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সেই বিষয়ে অবহিত করেন। চুপিসারে যেভাবে আশা কর্মীরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তার প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার আশাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে শ্বাসকষ্ট–সহ করোনা উপসর্গ আছে এমন ৪ হাজার ৩৩৭ জন রোগীর সন্ধান দিয়েছেন। রাজ্যের ‘সন্ধানে’ অ্যাপের সাহায্যে অসুস্থদের তথ্য সংগ্রহ করেছেন। করোনা পরীক্ষায় সেই তথ্য বিশেষ কাজে লেগেছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা।আশা কর্মীদের কাজকে আগেই স্যালুট জানানো হয় রাজ্যের তরফে। করোনা মোকাবিলায় তাঁদের সামনের সারির সৈনিকের সম্মান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।রাজ্যে প্রায় ৫৩ হাজার আশাকর্মী রয়েছেন। রাত-দিন গ্রামে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরা। নিজের জীবনকে কার্যত বাজি রেখেই লড়াই চালাচ্ছেন তাঁরা। তাই আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশমতো পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন ব্লকে অঞ্চলে আশা কর্মীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি ১ নম্বর ব্লকের দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকেও আজ দুর্গাপুর অঞ্চলের সকল আশা কর্মী কে সংবর্ধিত করা হয়। এই সংবর্ধনা সভায় উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শিখা রায়, উপপ্রধান নিতাই ঘোষ ও দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সকল সদস্য ও সদস্যা গণ। দুর্গাপুর অঞ্চলের সকল আশা কর্মী কে ফুলের স্তবক শংসাপত্র ও মিষ্টির প্যাকেট উপহার দিয়ে সংবর্ধিত করা হয়।