19/04/2024 : 12:12 PM
আমার দেশ

করোনা সংক্রমিতরা সুস্থ হওয়ার পর তাঁদের যত্নের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরামর্শ

জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, দিল্লী, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০:


দেশজুড়ে কোভিড – ১৯ মহামারীর ব্যবস্থাপনায় রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে একযোগে কেন্দ্র কাজ করে চলেছে। এই মহামারীর প্রতিরোধে এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন কৌশল নেওয়া হয়েছে।

দেখা গেছে কোভিড – ১৯এ সংক্রমিতরা সুস্থ হয়ে ওঠার পর ক্লান্তি, গা, হাত-পা ব্যাথা, সর্দি-কাশী, গলা খুসখুস শ্বাসকষ্টের মতো নানা সমস্যার সম্মুখীন হন। যাঁদের সংক্রমণ বেশি হয়েছিল এবং যারা অন্যান্য জটিল অসুখে ভুগছেন, তাদের সুস্থ হয়ে উঠতে সময় বেশি লাগছে।

কোভিড মুক্তদের জন্য সর্বাঙ্গীণ কিছু উদ্যোগের কথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক উল্লেখ করেছে। আরোগ্য লাভের পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যত্নের বিষয়ে মন্ত্রক, বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছে। এগুলি রোগ-প্রতিরোধ বা সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য নয়। যাঁরা আরোগ্য লাভ করেছেন, তাঁদের সম্পূর্ণ সুস্থ হবার জন্যই এই পরামর্শ।

১)ব্যক্তিগত পর্যায়ঃ

মাস্ক পরা, হাত ধোওয়া এবং হাঁচি-কাশির সময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার অভ্যাসগুলি মেনে চলতে হবে।

প্রচুর গরম জল খেতে হবে।

রোগ – প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আয়ুষের ওষুধ, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শে খেতে হবে।
শরীর ঠিক থাকলে পরে বাড়ির কাজকর্ম করা যেতে পারে। তবে, পেশা সংক্রান্ত কাজ ধীরে ধীরে শুরু করা বাঞ্ছনীয়।

হালকা এবং মাঝারি ব্যায়াম করতে হবে।

যোগাসন, প্রাণায়াম, ধ্যান নিয়মিত করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত ব্যায়াম করা যেতে পারে।

সুবিধা মতো জায়গায় সকালে এবং সন্ধ্যাবেলায় হাটা-হাটি করা প্রয়োজন।
সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
হালকা রান্না করা তাজা খাবার খাওয়া বাঞ্ছনীয়।
প্রচুর ঘুম ও বিশ্রামের প্রয়োজন।
ধূমপান ও মদ্যপান না করা বাঞ্ছনীয়।

চিকিৎসের পরামর্শ অনুযায়ী কোভিড সংক্রান্ত ওষুধ খেতে হবে। যাদের অন্য় অসুখ রয়েছে, তাদের সেই অসুখের ওষুধও খেতে হবে। কোনো ব্যক্তি যদি আগে থেকে কোন অ্যালোপাথ বা আয়ুষের ওষুধ খেয়ে থাকেন, তাহলে তাকে সেই ওষুধের বিষয়ে চিকিৎসককে জানাতে হবে।

বাড়িতে নিয়মিত তাপমাত্রা, রক্তচাপ, ব্লাডসুগার (যদি কারোর ডায়বেটিস থাকে), পালস অক্সিমেট্রিক নিয়মিত মাপতে হবে।

যদি শুকনো কাশি থাকে, গলা খুস খুস করে তাহলে নুন জল দিয়ে গার্গল করতে হবে। গার্গল করা বা বাষ্প নেওয়ার সময় বিভিন্ন ভেষজ বা মসলাপাতি চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যবহার করতে পারেন।

যদি জ্বর হয়, শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, বুকে ব্যাথা বা শরীর দূর্বল লাগে তাহলে তৎক্ষনাৎ ব্যবস্থা নিতে হবে।
২) সম্প্রদায়গত পর্যায়েঃ

যারা কোভিড মুক্ত হয়েছেন, তারা স্যোশাল মিডিয়া, সম্প্রদায়গুরু, যারা মতামত তৈরি করেন, ধর্মীয় নেতা, বন্ধু এবং আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে তাদের বিভিন্ন ইতিবাচক অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেবেন, যাতে এই সংক্রমণের বিষয়ে ভ্রান্ত ধারণা দূর হয়ে।

স্বনির্ভর গোষ্ঠী, সুশীল সমাজ এবং যোগ্য পেশাদারদের সাহায্যে চিকিৎসা, সামাজিক, জীবিকাগত ক্ষেত্রে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার সাহায্য নিতে হবে।

স্বাস্থ্যকর্মী, মনস্তত্ত্ববিদদের থেকে মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক সাহায্য প্রয়োজনে নিতে হবে।
যোগ, ধ্যান ইত্যাদি করার সময় শারীরিক দূরত্ব সহ সমস্ত নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে।

৩) চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনাঃ

আরোগ্য লাভের ৭ দিনের মধ্যে যে হাসপাতালে চিকিৎসা হয়েছে সেখানে স্বশরীরে গিয়ে কিংবা টেলিফোনের মাধ্যমে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

বাড়ির কাছাকাছি অ্যালোপাথ, আয়ুষ চিকিৎসকের কাছ থেকে পরবর্তী পরামর্শ নিতে হবে। এক্ষেত্রে পলিথেরাপী না নেওয়াই ভালো। কারণ কোন ওষুধের থেকে কি প্রতিক্রিয়া হয়, সেবিষয়ে কোন ধারণা নেই। অনেক সময় নতুন ওষুধে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

যারা বাড়িতে নিভৃতাবাসে ছিলেন, তাঁদের কোনো সমস্যা দেখা দিলে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে হবে।

বিভিন্ন জটিল অসুখে ক্ষেত্রে নানা নিয়মকানুন কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

 

Related posts

পশ্চিমবঙ্গ সহ ৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য সচিবদের সঙ্গে বৈঠক

E Zero Point

কারগিল বিজয় দিবসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর শ্রদ্ধা

E Zero Point

চলতি খরিফ মরশুমে সারের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ

E Zero Point

মতামত দিন