জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০:
২৮ বছরে নানা নাটকীয় টানাপোড়েনের সাক্ষী থেকেছে বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলা। বত্রিশ জন অভিযুক্ত। সঙ্গে আরও লাখো অজ্ঞাত-পরিচয় করসেবক। ২৮ বছর মামলা চলায় অভিযুক্তদের মধ্যে, ১৬ জন আগেই প্রয়াত। দেশের ইতিহাসে, অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায়ে শেষ হবে একটি ঐতিহাসিক বিতর্কের।
অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ খারিজ করল আদালত। বাবরি ধ্বংস মামলায় ৩২ জনকেই বেকসুর খালাস করা হল। ২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান, আজই বাবরি মসজিদ ধ্বংসের রায় দিচ্ছে আদালত। বাবরি মামলায় দু-হাজার পাতার রায় পড়ে শোনাচ্ছেন বিচারপতি বিরেন্দ্র যাবদ। বুধবার অভিযুক্ত ৩২ জনই হাজির রয়েছেন। ২৬ জন রয়েছেন আদালতে। বাকি ৬ জন থাকবেন ভিডিয়ো কনফারেন্সে ইতিমধ্যেই বাবরি মামলার রায় পড়া শুরু করেছেন বিচারপতি। ভিডিয়ো কনফারেন্সে হাজিরা উমা ভারতীর, থাকছেন আদবানী, মুরলিও। আদালতে উপস্থিত বিনয় কাটিয়ার, চম্পত রাই, জয় ভগবান গোয়েল-সহ মোট ২৬ জন।
ফটোগ্রাফিক এভিডেন্স আদালক গ্রাহ্য প্রমাণ নয়।
বাবরি ধ্বংসের মামলায় বেকসুর আডবাণী।
অভিযুক্ত নেতারা মকটিকে থামানোরই চেষ্টা করেছিল। বাবরি ধ্বংস আচমকা ঘটনা, পূর্ব পরিকল্পিত নয়। আডবাণী মুরলির কোনও দোষই দেখল না আদালত। আডবাণী, ঊমা ভারতী, মুরলি মনোহর জোশী, কল্যাণ সিং, বিনয় কাটিয়ার, নৃত্যগপাল দাস, চম্পত রাই, সাধ্বী ঋতম্ভরা, সাক্ষী মহারাজ অভিযুক্ত নন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জোরাল প্রমাণ নেই।
১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ১০ মাস পর চার্জশিট দেয় সিবিআই। সঙ্ঘ পরিবারের প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে নাম ছিল লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর জোশী, উমা ভারতীর। উত্তরপ্রদেশে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং, বিজেপি নেতা বিনয় কাটিয়ার, সাক্ষী মহারাজ, ভিএইচপি নেত্রী সাধ্বী ঋতম্ভরা এবং রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের সভাপতি নৃত্য গোপাল দাস ও সম্পাদক চম্পত রাইয়ের নাম চার্জশিটে দেয় সিবিআই। সবমিলিয়ে ৪৮ জন ছিলেন অভিযুক্তের তালিকায়। মামলা চলাকালীন ১৬ জন মারা যান। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন, বিশ্বহিন্দুপরিষদ নেতা অশোক সিঙ্ঘল, গিরিরাজ কিশোর, বিষ্ণুহরি ডালমিয়া ও শিবসেনা সুপ্রিমো বাল ঠাকরে।