সত্যনারায়ণ শিকদার
একজন সাংবাদিক সারাদিন কতখানি পরিশ্রম করে কাজ করেন সেটা সম্মানীয় সাংসদ মহুয়া মিত্র জানেন না বোধহয়। ঝড় জল বৃষ্টি, বোমাবাজি, ইটবৃষ্টি এই সবের সময় যখন ওনারা ঠান্ডা ঘরে বসে থাকেন তখন এই দু পয়সার সাংবাদিকরাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই খবর করে আনেন। আর উনি সেই খবরই টিভিতে দেখেন বা সংবাদপত্রে পড়েন।
আপনার কি মনে হয় ওই সাংবাদিকরা দু পয়সার জন্য অত ঝুঁকি নিয়ে নেন।
না ম্যাডাম….
সাংবাদিকতা করতে এক বুক সাহস লাগে, নিজের কাজকে কতটা ভালোবাসলে দু পয়সার সাংবাদিক হওয়া যায় সেটা আপনার বোঝার বাইরে।
একজন নামী মিডিয়া হাউসের অথবা দৈনিক সংবাদপত্রের সাংবাদিক কিংবা মফস্বলের ছোট পত্রিকার সম্পাদক কাম সাংবাদিক, আর একজন তথাকথিত ছোট অনামী হাউসের সাংবাদিকের বেতনের মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকলেও কাজের প্রতি ভালোবাসা, সততা, আবেগ দুজনের সমান হয়।
তাই দু পয়সার সাংবাদিক হওয়া গর্বের বিষয়…
আর শুধু সাংবাদিকতা কেনো, যেকোনো পেশাকেই সম্মান করা শিক্ষার পরিচয় বলে মনে হয়।