27/04/2024 : 6:15 AM
আমার বাংলাদক্ষিণ বঙ্গপূর্ব বর্ধমান

বর্ধমান জেলার বীরপুরুষ,দেশ প্রেমিক ও স্বাধীনতা সংগ্রামী অনিলবরণ রায়

জিরো পয়েন্ট নিউজ – কল্যাণ দত্ত, খন্ডঘোষ, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০:


বাংলার ইতিহাসে বর্ধমান জেলার এক বিশিষ্ট স্থান। আছে বহু প্রসিদ্ধ ও প্রখ্যাত নামা মহাপুরুষের জন্ম এই বর্ধমান জেলায়। একধারে যেমন কবি-সাহিত্যিক, শিল্পী, সঙ্গীতজ্ঞ চিকিৎসক, আইন বিষয়ক তেমনি অন্যদিকে আধ্যাত্মিক জগতের বৈষ্ণব তন্ত্রসাধক এবং দেশপ্রেমিক ও স্বাধীনতা সংগ্রামীরা। এদের মধ্যে অনিলবরণ রায় একটি স্মরণীয় নাম। ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দের ৩রা জুলাই বর্ধমান জেলার, খণ্ডঘোষ থানার, গুইর গ্রামে তাঁর জন্ম। তাঁর পিতা নবকুমার রায় সেই আমলের বিলাতে উচ্চশিক্ষিত ছিলেন । মাতা ছিলেন চন্ডীমালা দেবী । অনিলবরণ রায় পিতা মাতার দ্বিতীয় সন্তান ছিলেন । তাঁর মেধা ছিল অসাধারণ । কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-এ ইংরেজি ও দর্শন শাস্ত্রে এম.এ পাশ করেন । এবং ওই বিদ্যালয় থেকেই বি. এল পাশ করেন । তিনি বীরভূমের হেতমপুর রাজ কলেজে তর্ক শাস্ত্রের শিক্ষক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন । অনিলবরণ রায় গোবিন্দ প্রসাদ সিংহের সহযোগিতায় গঙ্গাজলঘাটি মধ্য ইংরেজি বিদ্যালয়টি-কে গ্রামবাসীদের সন্মোতিক্রমে জাতীয় বিদ্যালয়ে পরিণত করেন । তারপর তিনি অহিন্দ্রনাথ ঘোষ, বঙ্কিমচন্দ্র দাস ও সরোজ সরকারকে নিয়ে প্রচারের উদ্যেশ্য বিষ্ণুপুরে যান ।

দেশের অন্যান্য স্থানের মতো বাঁকুড়া জেলাতে জাতীয় আন্দোলনের গান্ধীবাদী ধারা শুরু হয়েছিল ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে প্রবর্তিত অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের সূত্র ধরে। ইতিমধ্যে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে বাঁকুড়া জেলায় আন্দোলনমুখী জাতীয় সচেতনতা আত্মপ্রকাশ করেছিল । এ বছর লোকমান্য তিলকের মহাপ্রয়ানের ঘটনা সম্পর্কে কলকাতার ‘দি স্টেটসম্যান’ নামক দৈনিক পত্রিকা এক অশোভন মন্তবের বিরুদ্ধে সমগ্র ভারতবর্ষ প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠে, এবং এই পত্রিকাটি বয়কটের আন্দোলন দেখা দেয় । বাঁকুড়া শহরে এটাই ছিল প্রথম রাজনৈতিক সভা । বাঁকুড়া জেলার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় বইয়ে রামকৃষ্ণ দাস লিখেছেন, অনিলবরণ রায় এই জনসভায় সভাপতিত্ব করেন এবং তিঁনিই যে বাঁকুড়ায় নির্ভিক ও ভবিষৎ স্বাধীনতা আন্দোলনের পুরোধা হবেন এই সভাতেই টা সুস্পষ্ট হয়। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি ও সুভাষচন্দ্র একই সঙ্গে গ্রেপ্তার হন। ভাতৃপ্রতিম সুভাষচন্দ্র ছিলেন তাঁর সহকর্মী । তাঁদের গ্রেপ্তার করে আলিপুর সেন্ট্রাল জেল ও পরে বহরমপুর সেন্ট্রাল জেলে রাখা হয়। ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে দুজনেই জেল মুক্ত হন ।
এই মনীষী অনিলবরণ রায়ের জন্য বর্ধমান গর্বিত । সবার কণ্ঠে ধ্বনিত হোক, স্যার তোমায় আমরা ভুলিনি ভুলবো না।

Related posts

বিজেপি সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে তৃণমূলের মিছিল জামালপুরে

E Zero Point

নাবালকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার মেমারিতে

E Zero Point

ইভিএম বিকল ক্ষোভ রোজাদার ভোটারদের মধ্যে

E Zero Point

মতামত দিন