29/03/2024 : 12:23 AM
আমার বাংলা

নির্বাচন কমিশন গণতন্ত্রের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ, অথচ এই কমিশন নখ, দাঁতহীন দুর্বল সিংহ

জিরো পয়েন্ট প্রতিবেদন

হেমলতা কাজ্ঞিলাল


ভারতবর্ষ হল বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গণতান্ত্রিক একটি দেশ| জনগণ হল সকল ক্ষমতার উৎস| ভারতের “সংবিধানে” এর উল্লেখ থাকলেও, প্রকৃত ক্ষমতা ভোগ করেন দেশের তথাকতিত নেতারা| নির্বাচনর ইস্তাহারে এনারা যাই প্রতিশ্রুতি দিন না কেন, সেই প্রতিশ্রুতি পালনে তারা কেউই জনগণের কাছে দায়বদ্ধ নন| গরিবের জন্য লড়াই করতে করতে এনারা কি ভাবে ফুলে- ফেঁপে ওঠেন তা কমবেশি সবাই জানেন| অথচ তারা নাকি সেবক?

বাহ্যিক আড়ম্বর, মিথ্যাচার, বিজ্ঞাপনী প্রচার, অর্থ, প্রভাব প্রতিপত্তি, ক্ষমতা তথা পেশীবল যার, সিংহাসন তার| নির্বাচন কমিশন গণতন্ত্রের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ, অথচ এই কমিশন ক্ষমতা নখ, দাঁতহীন দুর্বল সিংহের মত| গণতন্ত্রের সুফল পেতে হলে সবার প্রথমে নির্বাচন কমিশন কে অধিক শক্তিশালী করতে হবে, প্রয়োজনে সংবিধানে যথাপোযুক্ত পরিবর্তন আনতে হবে| জনগণ কে রাজনৈতিক ভাবে সচেতন করতে হবে, বোঝাতে হবে কি তাদের শক্তি|

দ্বিতীয়তঃ প্রত্যেক মানুষের ভোটদান সুনিশ্চিত করতে হবে, রাজনৈতিক হিংসা বন্ধ করতে হবে| প্রযুক্তির সাথে পায়ে পা মিলিয়ে বেশির ভাগ ভোট অনলাইনে করা যেতে পারে, যারা অনলাইনে ভোট দিতে পারবেন না তাদের জন্যই ballot paper এ ভোট দেওয়ার ব্যবস্তা করা যেতে পারে, এতে সময় এবং অর্থ দুই ই বাঁচবে| প্রত্যেক রাজনৈতিক দল একটি নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে বাৎসরিক নির্বাচনী ইস্তেহার নির্বাচন কমিশনের কাছে জামা দেবে |

যে দলই সরকার গড়ুক না কেন, সে যদি বাৎসরিক নির্বাচনী ইস্তেহার অনুযায়ী প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ হয় তবে পুনরায় ভোট হবে| এবং প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ হওয়ার দরুন ঐ দলের সকল নেতা মন্ত্রীদের প্রতারণার দায়ে IPC অনুযায়ী সাজা পাবে ও আগামী 5 বৎসর কোনও নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার ক্ষমতা হারাবে| ক্ষমতাসীন দল নিঃস্বার্থ ভাবে মানুষের জন্য লড়াই করবেন, দেশের কথা দশের কথা ভাবেন এমন নেতৃত্ব আজ বিরল|

“আশায় বাঁচে চাষা” এই অপাত্য বাক্য মেনে নিয়ে আমিও আশায় বুক বাঁধলাম…..এই পরিবর্তন এক দিনে সম্ভব নয়, একজন ভগৎ সিং বা একজন সুভাষ চন্দ্র বোসের প্রয়োজন…চাই আর একটি বিপ্লব, চাই প্রকৃত স্বাধীনতা যেখানে কৃষকদের জন্য, শ্রমিকদের জন্য থাকবে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা, থাকবে শিক্ষিতদের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থান , যেখানে নেতাদের জন্য ঘৃণা নয় থাকবে অকুন্ঠ প্রশংসা আর সম্মান, যেখানে প্রশাসন তথা বিচার ব্যবস্থা সুষ্ঠ ভাবে, স্বাধীন ভাবে তার কার্য পরিচালনা করতে পারবে, যেখানে এক দেশ, এক শিক্ষা ব্যবস্তা চালু হবে| যেখানে নারী পুরুষে কোনও বৈষম্য থাকবে না, নারীও থাকবে সমান সুরক্ষিত | যেখানে ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ট আসন লবে|

Related posts

কাঠিয়াবাবা নিম্বার্ক আশ্রমের কম্বল বিতরণ মেমারিতে

E Zero Point

সোনামুখী’র গ্রামে গ্রামে প্রচারের বাইশ গজে তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল সাঁতরা!

E Zero Point

করোনা আক্রান্ত এক স্বাস্থ্যকর্মীঃ আগামী রবিবার পর্যন্ত পাল্লারোড স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ

E Zero Point

মতামত দিন