জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, মেমারি, ২৭ এপ্রিল ২০২১:
দেশ করোনাভাইরাসে রীতিমতো বিধ্বস্ত। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল দেশবাসী। রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় আজ করোনার রেকর্ড বৃদ্ধি হয়েছে, ৬০০ জন আক্রান্ত। এমতাবস্থায় প্রশাসন পক্ষ থেকে কড়া ব্যবস্থা এখনও নেওয়া হয়নি। মানুষও যে খুব একটা সচেতন তা নয়, রাস্তা-ঘাটে, বাজারে মাস্কবিহীন অবস্থায় মানুষের সমাগম।
জেলার সমস্ত বিধানসভায় ভোটদান সম্পূর্ণ। প্রচারের সময় যেভাবে রাজনৈতিক দলের নেতাদের জনসংযোগ দেখা গিয়েছিল এখন জনসচেতনতার জন্য তাদের দেখা নেই। কিন্তু ভোটমুখী রাজনীতি নয়, মানুষের পাশে থাকার রাজনীতিতে বিশ্বাসী বামপন্থীরা তাই, করোনাকালীন পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষকে বাঁচাতে কেন্দ্র ও রাজ্যের “অন্ধ ও বধির” সরকারের দায়বদ্ধতার কথা স্মরণ করিয়ে দিতে “ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন”, মেরারি-১ (পূর্বও পশ্চিম) আঞ্চলিক কমিটির পক্ষ থেকে মঙ্গলবার মেমারি গ্রামীণ হাসপাতাল, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে করোনা সচেতনতার জন্য আবেদন করা হল।
পশ্চিম আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক তন্ময় মণ্ডল জানান যে, আমরা দাবী করেছি, অবিলম্বে সমস্ত মানুষের জন্য টীকার ব্যবস্থা করতে হবে, ব্যাপক হারে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে নজরদারি চালাতে হবে, নিজ ব্লকে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা করাতে হবে, বাজার ও গণপরিবহনগুলিতে নিয়মিত জীবাণুনাশক ঔষধ স্প্রে করতে হবে, চিকিৎসক, নার্স, সাফাইকর্মী, নিরাপত্তাকর্মীদের উপযুক্ত পোষাক, মাস্ক, স্যানিটাইজার সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, প্রতিদিনের অক্সিজেনের মজুত সংখ্যা প্রকাশ করতে হবে।
অন্যদিকে পূর্ব আঞ্চলিক কমিটির পক্ষে সুমন হাজরা বলেন, মেমারি হাসপাতালে যাওয়ার পর দেখলাম ওনার হাসপাতালের পরিস্থিতিও ভয়ংকর। মানুষের মুখে মাস্ক নেই, মেলাতলার মতো ভিড়, দূরত্ব বিধির বালায় নেই। মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না।
মেমারি-১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক হর্ষ ঘোষ তাঁর সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে। উক্ত কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন- সেখ রউফ, অন্তরা দত্ত ও সুব্রত বৈদ্য।