জিরো পয়েন্ট নিউজ – রীতা ভট্টাচাৰ্য, কালনা, ১২ জুলাই ২০২১:
কালনা রাজবাড়িতে অবহেলায় পরে আছে ৩০০ বছরের পুরাতন রথের দড়ি ও রথের ভাঙা অংশ। কালনা রাজবাড়ি চত্বরের সবচেয়ে পুরোনো পঁচিশচূড়া মন্দিরটি হল লালজি মন্দির। ১৭৩৯ সাধারণাব্দে মন্দিরটি নির্মাণ করান বর্ধমানের জমিদার কীর্তিচন্দ্-জননী ব্রজকিশোরী দেবী।
মন্দিরের প্রকৃত ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কিংবদন্তি। ‘লালজি’-র নামকরণের পিছনে তেমনই একটি কিংবদন্তি আছে। প্রখর বুদ্ধিমতী ব্রজকিশোরী তাঁর রাধিকা মূর্তির সঙ্গে বিবাহ দিয়েছিলেন এক সন্ন্যাসীর কাছে থাকা শ্যামরায়-এর এবং রাজ-জামাতা ‘লালজি’-র আবাসস্থল হিসেবে অনন্য শৈলীর দেবালয়টি নির্মাণ করিয়ে ছিলেন।
কালনার লালজি বাড়ির রথ আনুমানিক ৩০০ বছরের পুরাতন। সেই সময় রথকে কেন্দ্র করে অনেক অনুষ্ঠান হতো, রথের দড়ি টানার জন্য বর্ধমান থেকে বিজলী নামে হাতি আসতো, যদি দর্শনার্থী কম তাই রথের দরি টানার জন্য বিজলী নামে হাতিকে এনে রাখা হতো,দীর্ঘদিন ধরে রথের কোনো রক্ষনাবেক্ষণ হতোনা, রক্ষনাবেক্ষণের অভাবে রথটি ভাঙতে ভাঙতে একদম নিশ্চিন্ন হয়ে যায়।
কিন্তু কালনার রাজবাড়ীর লালজি মন্দিরে গেলে এখনো দেখা যায় অবহেলায় মন্দিরের এক কোনে পরে আছে ৩০০ বছরের পূর্বের রথের দড়ি, অবহেলিত ভাবে পরে আছে রাজার সময় কার রথের ভাঙা অংশ গুলো, লালজি মন্দিরের এক কোনে স্থান পেয়েছে ৩০০ বছরের পুরোনো রথের দড়ি ও রথের ভাঙা কাঠের অংশ।
কত স্মৃতি বহন করে বেড়াচ্ছে এই রথের দড়ি ও রথের ভাঙা অংশ গুলো, একদিন কালের স্রোতে ৩০০ বছরের পুরোনো রথের দড়ি ও থাকবেনা, ভাঙা রথের কাঠের অংশ হারিয়ে যাবে, তাই সংস্কৃতি প্রেমী মনোরঞ্জন সাহা, ও লালজি মন্দিরের পূজারির অনুরোধ যদি এই দড়ি আর ভাঙা রথের অংশ কোনো ভাবে যদি সংরক্ষন করা যেতো।