28/04/2024 : 8:21 AM
আমার দেশআমার বাংলাবিনোদন

পূর্ব বর্ধমানের সাথীর নাচের তালে মাতল গোটা দেশ

জিরো পয়েন্ট নিউজ, বর্ধমান,  ১৭ জানুয়ারি ২০২২:


ভারতের এক অত্যাধিক জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো সোনি টিভির ইন্ডিয়া গট ট্যালেন্ট । এই মঞ্চে গোটা ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসাধারণ সমস্ত প্রতিভাধারীরা উপস্থিত হন। প্রতিযোগীদের স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি গোটা দেশের মানুষের কাছে অনেক অদেখা প্রতিভা তুলে ধরে এই রিয়্যালিটি শো এর মঞ্চ। আর এবার ইন্ডিয়া গট ট্যালেন্টের মঞ্চে হাজির পূর্ব বর্ধমানের পাঁচরার মেয়ে তথা বাংলার গর্ব সাথী দে।

বর্ধমানের পাঁচড়া নামের ছোট্ট এক গ্রামের মেয়ে সাথী দে। ছোট থেকেই তাঁর মায়ের ইচ্ছা ছিল মেয়েকে নিয়ে নাচের জগতে বড় কিছু করার। তাই তিন বছর থেকেই শুরু নাচের শিক্ষা, আর প্রথম স্টেজ পারফর্মেন্স। মায়ের হাত ধরেই শুরু হয় নাচের শিক্ষা। প্রথমদিকে বাবা মেয়ের এই নাচের প্রতিভা সাপোর্ট করেননি। বাবা চাইতো পড়াশোনার ওপর জোর দিতে। কিন্তু সর্বদা মা পাশে থেকেছে। আর আজ বাংলার প্রথম হেয়ার অ্যাক্ট ডান্সার সাথী।

এবারে ইন্ডিয়া গট ট্যালেন্টের বিশেষ আকর্ষণ হিসাবে প্রথমেই প্রমো ভিডিওতে দেখানো হয়েছে এক অভিনব ডান্স ফর্ম। যেখানে মাথার চুলের সাহায্যে ঝুলন্ত দড়ি থেকে ঝুলেই নৃত্য প্রদর্শন করা হয়েছে। ভারতবর্ষে এই প্রথম এই ধরণের প্রতিভা দেখতে পাবেন দর্শকেরা রি রিয়্যালিটি শো এর মঞ্চে। সত্যিই এই নৃত্য প্রদর্শনী চমকে দেবার মত। যা দেখে বিচারকরা তো বটেই দর্শকেরাও চমকে গিয়েছেন।

ক্লাস নাইনে পড়া কালীন নাচ শেখার জন্য বর্ধমানের পাঁচড়া থেকে কলকাতা আসতেন সাথী। নিজে নাচ শেখার পাশাপাশি গ্রামের মেয়েদেরকেও নাচ শেখাতে শুরু করেন সাথী। এরপর ধীরে ধীরে অনেক জায়গায় পারফর্মেন্স করে প্রশংসা পেয়ে একসময় পৌঁছান স্বপ্ন নগরী মুম্বাইতে।

জানা যায় নিজে নাচ শেখার পাশাপাশি গ্রামের মেয়েদের নাচ শেখাতে শুরু করেন সাথী। এরপর নানা জায়গায় নিজের নাচের প্রদর্শনের মাধ্যমে জীবনের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে শুরু করে সাথী।  নাচের মাধ্যমেই ঘুরে বেড়ায় গোটা দেশ জুড়ে। এরপর এক সময় হেয়ার অ্যাক্ট ডান্সার হওয়ার স্বপ্ন জাগে মনের কোণে। ইচ্ছাশক্তি ও জেদের বশে নিজেই শিখে ফেলেন এই নৃত্য।

এরপর বিট ব্রেকার্স গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। সেখানে হেয়ার অ্যাক্ট ডান্সে আরও দক্ষ হয়ে ওঠা। প্রথমে প্র্যাক্টিসের ক্ষেত্রে সিলিং ফ্যানে দড়িতে ঝুলিয়ে রাখা। তারপর সেটা পৌঁছায় এরিয়ালে। কঠিন পরিশ্রম ও অদম্য ইচ্ছাশক্তির জেরে পৌঁছে যায় নিজের স্বপ্নের চুড়ায়। আপাতত তাঁর ইচ্ছা ভবিষ্যতেও এই নাচকেই সম্বল করে এগিয়ে যাওয়া।

সাথীর জন্য জিরো পয়েন্ট নিউজ এর পক্ষ থেকেই রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

Related posts

স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে সহজ শর্তে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ ঘোষণা রাজ্যের

E Zero Point

মুর্শিদাবাদ তৃণমূলের বিক্ষোভ মিছিল

E Zero Point

আউসগ্রামের ডোকরা শিল্পীদের পাশে বেসরকারি কলেজ

E Zero Point

মতামত দিন