জিরো পয়েন্ট নিউজ, ১ অগাষ্ট ২০২২:
কমনওয়েলথে সোনা জয় হাওড়ার ছেলে অচিন্ত্য শিউলির। ফুটবলের জন্য জনপ্রিয় হাওড়া। সেই হাওড়ার দেউলপুরের বাসিন্দা অচিন্ত্য। কিন্তু ফুটবল বা ক্রিকেট, কিছুই টানেনি তাঁকে। ভারোত্তোলনে দেশকে পদক এনে দিলেন বাংলার ছেলে। তিনি প্রথম বাঙালি, যিনি এবারের গেমসে কমনওয়েলথ সোনা জিতলেন। একাদশতম বাঙালি হিসেবে রেকর্ডও গড়লেন তিনি। কমনওয়েলথ গেমসে তৃতীয় সোনা ভারতের। ৭৩ কেজি ভারোত্তোলন বিভাগে সোনা পেলেন অচিন্ত্য। কমনওয়েলথ গেমসে এই নিয়ে ভারোত্তোলনে তৃতীয় সোনা এল ভারতের ঝুলিতে।
শৈশব থেকেই লড়াই চরম দারিদ্রের সঙ্গে। বাবা ভ্যানচালক ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর দুই ভাই আর মা মিলে জরির কাজ করতেন। বার্মিংহামের পর বঙ্গ ভারোত্তোলকের লক্ষ্য ২০২৪ সালের অলিম্পিকে পদক জয়। নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা অচিন্ত্যর কাছে এই সোনা জয়ের লড়াইটা ছিল যথেষ্ট কঠিন। হাওড়ার দেউলপুরে অচিন্ত্যদের মাটির দেওয়ালের বাড়ি, মাথায় টিনের ছাদ। বাবা ভ্যান চালাতেন, তিনি মারা গেছেন প্রায় ৯ বছর আগে।
মা জরির কাজ করে সংসার চালান কোনওক্রমে। সাপ্তাহিক মাত্র রোজগার পাঁচশো টাকা। তা-ও নিয়মিত নয়। দাদা অলক দমকল দফতরের অস্থায়ী কর্মী। কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপের দু’টি বিভাগে জোড়া সোনা, যুব এশিয়ান চ্যাম্পিনশিপে রুপো, বাংলার হয়ে জেতা তিনটি সোনা-সহ মোট আটটি পদক ঝুলছে ঘরের এক কোণে পেরেকে। একটা আলমারিও নেই সেই পদকগুলি সাজিয়ে রাখার। নিরন্তর অভাবের এই সংসারে শুধু জেদ ও পরিশ্রমকে বাজি রেখেই সোনার দৌড়ে সফল অচিন্ত্য।