জিরো পয়েন্ট নিউজ, মেমারি, ২২ ডিসেম্বর ২০২২:
শীত এলেই খেঁজুর গুড় আর তারপর তালগুড়ের গন্ধে ভড়ে ওঠে বাজার হাট। নিম্ন বিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সকলের এই খেঁজুর গুড় বা তাল গুড়ের স্বাদ নেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে ।একসময় এই গুড় তৈরীর জন্য বিখ্যাত ছিল এই বাংলা তাই তার নাম হয়েছিল “গৌড়বঙ্গ” কিন্তু আজ এই গুড়েই মিশছে ভেজাল। আসল খেঁজুর রস বা তাল রসের সাথে চিনি বা আখের গুড় মিশিয়ে বাড়ানো হচ্ছে পরিমাণ। স্বাদ বা গন্ধ আনতে মেশানো হচ্ছে কৃত্রিম সুগন্ধি সহ না না কেমিক্যাল। এরপর এই মিশ্রণ বিক্রী করা হচ্ছে বাজারে অধিক দামে আসল খেঁজুর বা তাল গুড়ের সমতুল্য বাজার দামে। সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছে না । কিনে বাড়ি আনার পর ঠকছে । আসল গুড় দীর্ঘদিন স্বাদে গন্ধে সুগন্ধি থাকলেও নকল গুড়ে সুগন্ধ চলে যায় কয়েক সপ্তাহ পরেই।
এছাড়াও অজান্তে রাসায়নিক সুগন্ধি ও রং খেয়ে শারিরীক ক্ষতিও হচ্ছে। সকল বিষয় নিয়ে প্রশাসনিক নজরদারীর দাবী জানাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সাথে সাথে গুড় বিক্রীর জন্য ফ্যাসাই বা ভারতের খাদ্য সুরক্ষা পরিমাপ সংস্থার ছাড়পত্র বা প্রয়োজন অনুমতি বাধ্যতামূলক করা হোক। খোলাবাজারে ও কারখানায় নজরদারী চালানো হোক এই নকল গুড় বিক্রী রুখতে। প্রয়োজনে নকল রুখতে গুড়ের পাটালির গায়ে আসল খেঁজুর বা তাল রসের শতকরাভাগ উল্লেখ করা হোক লেবেল লাগিয়ে নয়ত এই নকল গুড় বিক্রী করে অসাধু উপায়ে অর্থ উপার্জন করছে একদল ব্যবসায়ী ও গুড় প্রস্তুতকারক সংস্থা । যার বিহিত হওয়া দরকার।