জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, হাওড়া, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩:
জীবিকার লক্ষ্যে যে কেউ টোটো কিনে যে কোন জায়গায় চালাতে পারে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে হাজার হাজার টোটো রাস্তায় নামানোর ফলে শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এর জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অবৈধ টোটো প্রস্তুতকারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান রাজ্য পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী।
টোটো পরিবেশবান্ধব হবার কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের ও কোর্টের রায়ের খুব একটা রেস্ট্রিকশন নেই। তবে এলাকার পুরসভা ও পঞ্চায়েতের মাধ্যমে বৈধ টোটোর তালিকা তৈরি ও রুট বেঁধে দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়ে কোমর বাঁধতে চলেছে রাজ্য পরিবহন বিভাগ।
রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী মঙ্গলবার হাওড়ার একটি অনুষ্ঠানে এসে স্পষ্ট ঘোষণা করেন যে, কোন টোটকে এখনই বৈধ রেজিস্টেশন বা লাইসেন্স দেওয়া হবে না । টোটো পরিবেশ বান্ধব। কিন্তু যত্রতত্র টোটোর সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে এবং যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে তা রুখতে এবার কার্যত কোমর বাঁধতে চলেছে রাজ্যের পরিবহন দফতর।
রাজ্যের সর্বত্র গজিয়ে ওঠা টোটো তৈরীর কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে মন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, যাদের কাছে বৈধ সরকারি অনুমতি আছে তাঁরাই শুধু টোটো তৈরী করতে পারবে। তবে টোটো(TOTO) গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো পরিকল্পনা এই মুহূর্তে নেই বলেই জানান তিনি। আগামীদিনে ই- পরিবহণের ওপরে সরকার আরো জোর দেবে বলে উল্লেখ করেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী।
পরিবহন মন্ত্রী এদিন ঘোষণা করেন, সেই বাম জামানা থেকেই ট্রান্সপোর্টে দালাল চক্র সক্রিয় রয়েছে। তাই ১০০% অনলাইন সার্ভিস শুরু করা হলো। যার মাধ্যমে ২৪ ঘন্টা অনলাইন ব্যবস্থার মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভ প্রায়োরিটি হিসাবে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলো। মঙ্গলবার হাওড়ার সাঁতরাগাছি বাস টার্মিনাসে এসে এমনই ব্যবস্থার সূচনা করেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।