19/04/2024 : 4:28 AM
আমার দেশবিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ChatGPTঃ সারা বিশ্বে চ্যাটজিপিটি নিয়ে আলোড়নঃ বুদ্ধিমত্তা চ্যাটজিপিটি বিশ্ব বদলের পথে

জিরো পয়েন্ট বিশেষ প্রতিবেদন, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩:


দিগন্তিকা বোস


চ্যাটজিপিটি (জেনারেটিভ প্রি-ট্রেইনড ট্রান্সফরমার) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত চ্যাট বট, যা মানুষের সঙ্গে খুব স্বাভাবিকভাবে চ্যাট মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারে। এটি দিয়ে সাধারণ নিবন্ধ থেকে শুরু করে গল্প-কবিতার মতো সৃজনশীল রচনাও লিখে দেয় । এমন কি কম্পিউটারে কোন সৃজনশীল পোগ্ৰাম লিখে দিতেও পারে। বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণালব্ধ উত্তর সঙ্গে সঙ্গে দিতে পারে। ৩০ সে নভেম্বর ২০২২ ওপেন এআই নামের আমেরিকান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান এর উদ্ভাবন করে।


সারা বিশ্বে চ্যাটজিপিটি নিয়ে আলোড়ন পরেছে। যা ব্যবহার করে রীতিমতো বিস্মিত ও অভিভূত হচ্ছে মানুষ। কিন্তু এই বিস্ময়ের মধ্যেই মানুষের মনে তৈরি হচ্ছে শঙ্কা ! সেটা হলো, এই সর্বজ্ঞানী প্রযুক্তি কি মানুষের চাকরি কেরে নেব ? চ্যাটজিপির চ্যাট বক্সে লিখলাম , ‘রাইট এন আর্টিকেল এবাউট ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ’, উত্তরে চ্যাটজিপিটি যে নিবন্ধ লিখে দিল, তা দেখে হতবাক! নিবন্ধের বক্তব্য অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক।একদম যথাযথ বাক্যগঠন ও ব্যাকরণ , লেখার মধ্যে সামান্য যান্ত্রিকতার ছাপ আছে,প্রবন্ধের কাঠামো কিন্তু পরিশীলিত। তবে সামান্য ঘষামাজার পর সেই যান্ত্রিকতাও দূর করা গেল।


আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্ট হবার কারণে এর বুদ্ধিমত্তা ভুল করার প্রবনতা খুবই কম। তাই দেখে অনেকেই বলছেন, চ্যাটবটের এমন উন্নতিতে অনেক চাকরিই হুমকির মুখে পড়বে। আরেক দল আবার তাঁদের সঙ্গে একমত নন। সেটি ভবিষ্যতের প্রশ্ন। তবে এখন চাইলেই আপনার কর্মক্ষেত্রে নিতে পারেন চ্যাটজিপিটির সাহায্য। জেনে নিন কী কী কাজে সেটি নিতে পারেন।

সার্চ ইঞ্জিনের বিকল্প ব্যবহার –
বিভিন্ন কারণে বারবার সার্চ ইঞ্জিন এর মাধ্যমে কোনো তথ্য খোঁজার প্রয়জন নেই । চ্যাটজিপিটিতে এই পুরোটাই করতে পারবেন এক বাক্যে। ঠিকঠাক প্রশ্নটা করলেই কেল্লাফতে।

যোগাযোগ ও বিভিন্ন লেখালিখি তে-
যোগাযোগের জন্য চিঠি, আবেদনপত্র, ইমেইল, প্রবন্ধ, বক্তৃতা লেখা। এর জন্য কত কিছু লিখতে হয়, লেগে যায় অনেকটা সময়। এই সমস্ত কাজে চ্যাটজিপিটির সাহায্য নিয়ে অনেক বেশি সময় দিতে পারেন অন্য কাজে ।

তথ্য বিশ্লেষণ ও রিপোর্ট তৈরি –
বিপুল তথ্য নিয়ে কাজ করা, সিদ্ধান্ত নেওয়া সেগুলো বিশ্লেষণ করা কিংবা রিপোর্ট লেখা প্রচুর সময় ব্যয় হয় ,সে কাজে নিতে পারেন চ্যাটজিপিটির সাহায্য।

টাইম ম্যানেজমেন্ট ও পরিকল্পনা-
প্রতিদিন টাইম ম্যানেজমেন্ট ও পরিকল্পনা করতে সময় ব্যয় করতে হয়। এই ধরনের কাজ সহজেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে করা সম্ভব। যে বিষয়ে চ্যাটজিপিটি খুবই উপযোগী।

বিশেষজ্ঞরা এর ভবিষ্যৎ নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত এক দল বলেছেন নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে। অন্যরা বলেছেন ভবিষ্যৎ মানুষ বুদ্ধিমত্তা হারাবে, চাকরিও হারাবে। নতুন প্রযুক্তি নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসে। এর ক্ষতিকারক দিকগুলো সম্পর্কে সচেতন ভাবে মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।


বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ২০৩০ সালের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কল্যাণে গ্লোবাল জিডিপিতে ১৫ লাখ কোটি ডলার যুক্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা আরও মনে করছেন , ইতিমধ্যে ৩ শতাংশ কাজ ঝুঁকির মুখে আছে। তবে এই অনুপাত ৩০ – ৪৪ শতাংশে উঠে যাবে ২০৩০ সালের মধ্য । বিশেষ করে স্বল্পশিক্ষিত শ্রমিকদের কাজের ক্ষেত্রে; অর্থাৎ বিপুলসংখ্যক মানুষকে হয় দক্ষতার উন্নয়ন ঘটাতে হবে, না হয় কাজ হাড়াতে দিতে হবে।

মানুষ তাহলে কি বসে থাকবে ?

চ্যাটজিপিটির নির্মাতা ওপেন এআইয়ের সি ই ও স্যাম অল্টম্যান মনে করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কল্যাণে এত পরিমাণ রাজস্ব তৈরি হবে যে যুক্তরাষ্ট্রের সব প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে বছরে ১৩ হাজার ৫০০ ডলার পরিষেবা দেওয়া সম্ভব। সেই সঙ্গে পণ্য ও সেবার দাম অত্যন্ত কমে যাবে।

চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের লিঙ্ক:
https://openai.com/blog/chatgpt/

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট

Related posts

কোল ইন্ডিয়া ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের মধ্যে ৫০০টি প্রকল্পে ১.২২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি অর্থ বিনিয়োগ করবে

E Zero Point

সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

E Zero Point

নির্বাসনে রাহুল গান্ধী ! এর পরেও কি দেশের নেতাদের কু’কথার রাজনীতি বন্ধ হবে?

E Zero Point

মতামত দিন