01/05/2024 : 6:39 PM
আমার দেশ

কোল ইন্ডিয়া ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের মধ্যে ৫০০টি প্রকল্পে ১.২২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি অর্থ বিনিয়োগ করবে

জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০:


২০২৩-২৪ সালের মধ্যে দেশে ১ বিলিয়ন টন কয়লা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। দেশকে কয়লা উৎপাদন ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর করে তোলার উদ্দেশ্যেই এই লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। এই লক্ষ্য পূরণে ন্যাশনাল মিনার কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড (সিআইএল) ৫০০টি প্রকল্পে ১.২২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি অর্থ বিনিয়োগ করবে। মূলত, কয়লা উত্তোলন, পরিকাঠামো নির্মাণ, খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান ইত্যাদি বিষয়ে ৫০০টি প্রকল্প রয়েছে। এই প্রকল্প ক্ষেত্রে ১.২২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি অর্থ বিনিয়োগ করা হবে। সিআইএল আয়োজিত এক সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একথা জানিয়েছেন কয়লা ও খনি মন্ত্রী শ্রী প্রহ্লাদ যোশী।

বৈঠকে খনিজ সম্পদ উত্তোলন ক্ষেত্রে যুক্ত বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে প্রকল্পের উন্নয়নের বিষয় নিয়ে আলোচনা চলে। সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকেই মন্ত্রী জানান, কয়লা উত্তোলন এবং কয়লা নিয়ে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে ভারতের অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের মধ্যে একাধিক কোম্পানি ১৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, কয়লা উত্তোলন করে তা যথাস্থানে পৌঁছে দেওয়া ও পরিবহণে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করার প্রয়াস চালানো হচ্ছে। সিআইএল – এর প্রস্তাবিত ১.২২ লক্ষ কোটি টাকার মধ্যে ৩২ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা কয়লা উত্তোলন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হবে। এছাড়াও, ২৫ হাজার ১১৭ কোটি টাকা খনি পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ক্ষেত্রে খরচ করা হবে। পাশাপাশি, ২৯ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা প্রকল্প উন্নয়নে, ৩২ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে, ১ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা সামাজিক পরিকাঠামোগত উন্নয়নে এবং ১ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান ক্ষেত্রে ব্যয় করা হবে।

আগামী কয়েক বছরে কয়লা উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বিদেশ থেকে কয়লা আমদানি নির্ভরতা হ্রাস করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই পরিকল্পনা সফলের জন্য ভারতের খনিজ উন্নয়ন ও পরিচালন দপ্তর ১৫টি গ্রিন ফিল্ড প্রকল্প চিহ্নিত করেছে। এক্ষেত্রে ৩৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। এর পাশাপাশি, রেলপথের মাধ্যমে কয়লা পরিবহণ, নিজস্ব ওয়াগন তৈরি ইত্যাদি ক্ষেত্রেও একাধিক বিনিয়োগে সম্ভাবনা রয়েছে বলেও শ্রী যোশী জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কোল ইন্ডিয়া এবং তার সহযোগী অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে একাধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এক্ষেত্রে সহকারী অন্যান্য সংস্থাগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ‘ইজি অফ ডুয়িং বিজনেস’ বা সহজে ব্যবসা করার উন্নতি ক্ষেত্রে সরকার লাগাতার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন শ্রী যোশী। অনুষ্ঠানে কয়লা দপ্তরের সচিব শ্রী অনীল কুমার জৈন এবং সিআইএল – এর সিএমডি শ্রী প্রমোদ আগরওয়াল সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

Related posts

কৃষি ও সহযোগী ক্ষেত্রের স্বার্থ সুরক্ষায় মউ স্বাক্ষর

E Zero Point

“পিএম সূর্যঘর”: এবার বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্য

E Zero Point

“ট্যাপিং দ্য পোটেনশিয়াল অফ কাশ্মীর : অ্যানাদার ডে ইন প্যারাডাইস”

E Zero Point

মতামত দিন