18/05/2024 : 5:36 PM
আমার বাংলাদক্ষিণ বঙ্গপূর্ব বর্ধমানমেমারি

জগদ্ধাত্রী পুজোকে কেন্দ্র করে আনন্দের বাতাবরণ মেমারিতে

জিরো পয়েন্ট নিউজ   অতনু ঘোষ, মেমারি, ২২ নভেম্বর ২০২৩:


গ্রামে বা গ্রামের আশেপাশে কোন জায়গায় জগদ্ধাত্রী পূজা হয় না, জগদ্ধাত্রী প্রতিমা দর্শন অথবা আলোকসজ্জা দেখতে ছুটে যেতে হয় সুদূর হুগলির চন্দননগর অথবা মানকুন্ডু। ছেলেরা হয়তো বন্ধুবান্ধব দের সাথে দলবেঁধে যায়,কিন্তু গ্রামের ছোট্ট ছোট্ট খুদে ও মহিলারা? তারা তো জগদ্ধাত্রী পুজোর আনন্দ থেকে বরাবরই বঞ্চিত,তাই জগধাত্রী পুজোয় যাতে সকলে মিলে একসাথে আনন্দে মেতে উঠতে পারে সেই কথা চিন্তা করে আজ থেকে 10 বছর আগে গ্রামের কিছু উঠতি যুবকের উদ্যোগে ও গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় জগদ্ধাত্রী মায়ের আরাধনা। শ্যামনগর গ্রামের এই জগধাত্রী পুজো এ বছর ১১ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে।।

দুর্গাপুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই শুরু হয়ে যায় জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রস্তুতি, এবং দীপাবলীর পরেই জগদ্ধাত্রী পুজোকে ঘিরে শ্যামনগর গ্রামে নেমে আসে আলোকের ঝর্ণাধারা, গ্রামের আট থেকে আশি সকলেই মেতে ওঠেন জগদ্ধাত্রী পুজোর আনন্দে।
ধীরে ধীরে এই পুজোর জৌলুস ও উদ্দীপনা বেড়েই চলেছে।

পুজোর শুরুর সময় থেকেই পুজোর কটা দিন মণ্ডপ প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় সান্ধ্যকালীন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যাতে অংশগ্রহণ করে যেমন গ্রামের কচিকাঁচারা তেমনি বহিরাগত শিল্পীরাও। শুধুমাত্র যে গ্রামের হিন্দু পাড়ার কচিকাঁচারা এই সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে তা নয়। গ্রামের সকল সম্প্রদায়ের সকল ধর্মের পরিবারের ছোট্ট খুদেরা এই জগধাত্রী পুজো উপলক্ষে সান্ধ্যকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মঞ্চ কাঁপায়।


আর এই সান্ধ্যকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে পুজোর কটা দিন গ্রামের মহিলারা বাড়িতে সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বেলে,সাংসারিক কাজকর্ম সেরে উপস্থিত হয় মন্ডপ প্রাঙ্গনে। পাশাপাশি এই সান্ধ্যকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে গ্রামের সকল ধর্মের মানুষেরাও সন্ধ্যা থেকেই নিজ নিজ বসার আসন নিয়ে এসে উপস্থিত হয় মন্ডপ প্রাঙ্গনে।এবং হালকা শীতের সন্ধ্যায় বেশ তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করে গ্রামের কচিকাচাদের ও বহিরাগত অতিথি শিল্পীদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এক কথায় শ্যামনগর গ্রামের এই জগধাত্রী পুজোর আনন্দে মেতে ওঠে সকল ধর্মের মানুষেরাও।

পাশাপাশি এই শ্যামনগর গ্রামে জগধাত্রী পুজো যে বছর প্রথম শুরু হয় সেই বছর থেকেই আয়োজন করা হয় নরনারায়ন সেবার অর্থাৎ দশমীর দিন মায়ের অন্ন ভোগ বিতরণ করা হয় দুপুরে, যেখানে গ্রামের সকল ধর্মের মানুষেরা তো থাকেই তার সাথে পার্শ্ববর্তী গ্রামেরও বহু মানুষ অন্ন ভোগ গ্রহণ করতে এদিন শ্যামনগর গ্রামে আসেন।

শ্যামনগর গ্রামের সজল ঘোষ, শান্তনু ঘোষ,উজ্জ্বল ঘোষ, তাপস মালিক, কমল ঘোষ, শ্যামল ঘোষ, সরজিত মালিকদের মত কিছু উঠতি যুবক জানান যে, যে বছর এই পূজোর প্রথম সূচনা হয় তারপর থেকে যতই পূজোর বয়স বেড়েছে ততই পুজোর জৌলুস দিন দিন বেড়েই চলেছে, আগামী বছর গ্রামবাসীরা এভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে এই জগধাত্রী পুজোয় আরো ভালো কিছু করে গ্রামের মানুষকে আনন্দে দেবার জন্য তারা আপ্রাণ চেষ্টা করবে।

 

Related posts

কান্দি ব্লকে পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তার কাজের উদ্বোধন

E Zero Point

প্রাক্তন বিধায়কা হাত ধরে অ্যাম্বুলেন্স উদ্বোধন

E Zero Point

এবার মেমারিতে মিলল মধুচক্রের হদিস, ৮ যুবতী উদ্ধার ও ৫ যুবক গ্রেপ্তার

E Zero Point

মতামত দিন