জিরো পয়েন্ট বিশেষ প্রতিবেদন, ১ ডিসেম্বর ২০২৩:
( অনন্যা সাঁতরা, সাহিদুল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় যশ, এম. কে. হিমু-র রিপোর্ট)
শস্য গোলা পূর্ব বর্ধমানে আমন ধান কাটার কাজ প্রায় শেষের মুখে এবং তার সাথে শুরু হয়েছে আলুর রোপনের জন্য মাটি তৈরি। আর এখানেই চাষীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। নেই তাদের মনে হাসি, কারণ যে পরিমাণ রাসায়নিক সার এই আলু চাষের ক্ষেত্রে ব্যবহারিত হয় পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এত পরিমান রাসায়নিক সার ব্যবহার হয় না। আর ঠিক এই জায়গায় কিছু অসাধু চক্র তাদের কার্যকলাপ শুরু করেছেন যার ফলে সরকারি নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে অসহায় চাষীকে।
পূর্ব বর্ধমানের মেমারি দু’নম্বর ব্লক এর সোঁতলা সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল। অভিযোগ করেন বিশ্বনাথ দাস, সুকুমার সাঁতরা, বিশ্বনাথ সাঁতরা সহ এলাকার বেশ কিছু কৃষক।তাদের দাবি সারর কিনলে ১৪৭০ টাকা সাড়ের দাম ছাড়াও ৩৮০ টাকা সাদা কাগজের বিল করে চাষীদের থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে এবং ৩৮০ টাকার পরিবর্তে কোনরূপ ট্যাগিং অথবা আনুষাঙ্গিক স্যার দেওয়া হচ্ছে না।
এ বিষয়ে সমবায় সমিতির এক কর্মী জানান উপর থেকে নির্দেশ আছে সারের সাথে ট্যাগিং বাধ্যতামূলক কখনো কখনো ভিড়ের চাপে তারা চাষীদের ট্যাগিং দিতে ভুলে যাচ্ছেন। কিন্তু তিনি উপর থেকে বলতে কে বা কারা নির্দেশ দিচ্ছেন সে ব্যপারে মুখু কুলুপ আঁটলেন।
এ বিষয়ে মেমারি দুই ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক ও কৃষি অধিকর্তা মহাশয় বলেন এই ধরনের অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে তারা প্রশাসনিক ভাবে কোথাও কোথাও সারপ্রাইজ ভিজিটও করছেন এমনটাই দাবি করেন। কয়েকদিন আগে
কৃষকদের অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সংবাদ মাধ্যম। বিশেষ সূত্র মারফত জানা যায় পরেরদিন থেকেই সোঁতলা সমবায় সমিতি এক্সট্রা চার্জের জন্য বিলের ব্যবস্থা করা হলেও পূর্বে যে সমস্ত কৃষকরা ট্যাগ বিলের অর্থ দিয়েছেন তারা কোন দ্রব্য পাননি ।
তবে শুধু পূর্ব বর্ধমানের মেমারি দু’নম্বর ব্লক ই নয়, মেমারি ১ নম্বর ব্লক সহ গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলা ও রাজ্য জুড়ে এই ধরনের অভিযোগ উঠে আসছে কোন না কোন জায়গা থেকে। চাষীদের দাবি সরকার মনে করলেই এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতেই পারেন যদি তারা প্রকৃত ভাবে কৃষকবন্ধু বলে মনে করেন তাদের। বছরের পর বছর প্রশাসনের আধিকারিকদের জানিয়েও এখনও পর্যন্ত কোনরকম সমাধান হয়নি। নাম কা ওয়াস্তে তারা শুধু সারপ্রাইজ ভিজিট আর মিটিং করেন তারপর একই রককম চলতে থাকে।
সর্বশেষ এটা বলাই চলে একজন কৃষক ফসল করতে গিয়ে নিঃস্ব হয় অর্ধ হারে থাকে তখন যারা কৃষকের খাবার খায় একবারও কি কৃষকের কথা ভাবেন?