01/05/2024 : 3:15 AM
আমার বাংলাদক্ষিণ বঙ্গপূর্ব বর্ধমানমেমারি

সাধারণ মহিলাদের প্রতারণা করে, ঋণের টাকা আত্মসাৎ করে ফেরার মেমারির গৃহবধূ

জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, আনোয়ার আলি, মেমারি, ৯ মার্চ ২০২৪ :


পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি পৌরসভার অন্তর্গত ৩ নং ওয়ার্ডে সুলতানপুর এলাকার বাসিন্দা রূপা খাতুন, সামিয়া বিবি, রাবেয়া বিবি, মাফিজা বিবি সহ প্রায় ৭০ জন মহিলা মাইক্রো ফাইনান্স কোম্পানি বন্ধন, উজ্জীবন, আর্শিবাদ এমনকি মেমারি পৌরসভার বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠী থেকে বিভিন্ন সময় সহজ কিস্তিতে লোন নিয়েছেন। সাধারণ খেটে খাওয়া মহিলারা বেশির ভাগই স্বল্প শিক্ষিত হওয়ায় তাদের সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসে এলাকারই এক মহিলা শুকতারা বিবি।

মেমারির সুলতানপুরের মোড়ল পাড়া, রেললাইন পাড়া, রায় পাড়া, জিটি রোড পাড়া সহ বিভিন্ন পাড়ার নিম্নবিত্ত এই সব মহিলারা ভরসা করে শুকতারা বিবিকে তাদের প্রয়োজনের কথা বলে লোন নেওয়ার জন্য তাদের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ব্যাঙ্কের পাশবুকের জেরক্স কপি দিতেন। এইভাবে তারা ১০ হাজার থেকে শুরু করে ৫০ হাজার পর্যন্ত লোন পেয়েছেন বিভিন্ন মাইক্রোফাইনান্স কোম্পানি থেকে। লোন পরিশোধও করেছেন কিস্তির মাধ্যমে।

কিন্ত বিপদ ঘনিয়ে এলো তখন যখন এলাকার বাসিন্দা সামিয়া বিবি জানতে পারেন তার নামে লক্ষাধিক টাকা লোন নেওয়া হয়েছে যেটা তিনি জানতেনই না। পরে তিনি জানতে পারেন প্রায় ২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা তার নামে লোন করা হয়েছেয এবিযয়ে তিনি মেমারি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। স্থানীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায় এরকম বহুজনের শুকতারা বিবি  লোন নিয়েছেন।

সমগ্র  বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে  বৃহস্পতিবার দুপুরে এলাকার ঋনগ্রস্থ মহিলারা অভিযুক্ত শুকতারা বিবির বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় শুকতারা বিবির একটি অনলাইনের দোকানও আছে। স্বামী সেখ হানিফ একজন ইঁট-বালি-পাথরের ব্যবসায়ী। সুলতানপুর এলাকায় জিটি রোডের ধারে তার ব্যবসা। স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই তৃণমূল কংগ্রেসের মিটিং মিছিলে দেখা গেছে।

এ ব্যপারে শুকতারা বিবির স্বামী সেখ হানিফকে তার দোকানে না পাওয়া গেলে ফোনে পাওয়া যায়। তিনি জানান, এবিষয়ে কিছুই জানে না। তাদের ১৪ বছরের একটি ছেলে আছে। সে নিখোঁজ – এব্যপারে মেমারি থানায় জানিয়েছেন।

জানা যায় বৃহস্পতিবার রাতে মেমারি থানায় শুকতারা বিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারিত হওয়া মহিলারা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে মেমারি থানার পুলিশ।

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে কার মদতে অসহায় মানুষের নথি হাতিয়ে এমন দূর্নীতি করলেন? কোন রহস্য রয়েছে এর পিছনে।  এই পরিস্থিতিতে ঋনগ্রস্থ ও প্রতারিত মহিলারা থানায় অভিযোগ দায়ের করে অভিযুক্তের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান। সেই সাথে আত্মসাৎ কৃত অর্থ দ্রুত পরিশোধ করার কথাও বলেন। কিন্তু পাড়ার স্মার্ট সুন্দরী মহিলা অত্যন্ত সু কৌশলে যে ভাবে বোকা বানিয়ে ঋণ নিয়ে উধাও , আদৌকি অত সহজে ধরা দেবেন তিনি? যদিও প্রশাসনের উপর আস্থা রাখছেন অভিযোগকারীরা।

 

Related posts

আদিবাসী সম্প্রদায় কে সঙ্গে নিয়ে চলো গ্রামে যাই কর্মসূচি মেমারিতে

E Zero Point

জনসংযোগ তৈরি করতে কালীপুজো উদ্বোধনে জেলা পুলিশ সুপার

E Zero Point

একদিকে বেহাল দশা রেল গেটের রাস্তার অন্যদিকে লক ডাউনে এটিএম বন্ধঃ পাল্লারোডে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ

E Zero Point

মতামত দিন