জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, আনোয়ার আলি, মেমারি, ২২ এপ্রিল ২০২৪ :
কৃষিকাজে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাটির স্বাস্থ্যরক্ষা। একই জমিতে একাধিক ফসল উৎপাদন এবং রাসায়নিক সারের উপর অত্যধিক নির্ভরশীলতার ফলে রাজ্যে চাষের জমির উৎপাদিকা শক্তি ক্রমশ কমছে। এজন্য মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে মাটিকে লালন করা একান্ত জরুরি। বিভিন্ন ভূমিজ ও বায়ুমণ্ডলীয় ক্রিয়া-বিক্রিয়ায় মাটিতে প্রয়োজনীয় খাদ্য প্রস্তুত হলেও সেখানে বসবাসকারী ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীবাণুগুলির ভূমিকা অপরিসীম।
পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি ১ ব্লকের অন্তর্গত দুর্গাপুর অঞ্চলের চোটখন্ডের ডাসারপাড়াতে এই প্রথম মাটি অর্গানিক্স ফার্ম নিয়ে এলো ভারত সরকারের আইসিএআর অনুমোদিত অত্যাধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তির মেশিন পরিচালিত মাটি পরীক্ষা কেন্দ্র। রবিবার এই মাটি পরীক্ষা কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন চন্ডীচরণ মালাকার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর এদিন উপস্থিত সকল কৃষক বন্ধুদের এই মাটি পরীক্ষা কেন্দ্রটি পরিদর্শন করানো হয় ও এই পরীক্ষাগারের কার্য প্রণালী সবিস্তারে সকলকে জানানো হয়।
এছাড়াও এদিন চাষীদের নিয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হলো। কৃষিতে মাটির স্বাস্থ্য ও মাটি পরীক্ষার গুরুত্ব শীর্ষক এই সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ প্রিয়ব্রত পাঁজা ও কৌস্তভ সামন্ত। আশেপাশের এলাকার প্রায় ৫০ জন চাষী এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। সেমিনার শেষে চাষীদের সাথে আলোচকদের প্রশ্নোত্তর পর্বে বর্তমানে চাষীদের বিভিন্ন সমস্য ও তার সমাধান নিয়ে কথাবার্তা হয়।
আয়োজক মাটি অর্গানিক্স ফার্মের পক্ষ থেকে দিব্যেন্দু মালাকার জানান, কৃষি জমির সার্বিক স্বাস্থ্য ভাল থাকলে ফসলের গুণমান ও স্বাস্থ্য ভালো হয়, ফলনও বেশি হয়, গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, ফলে জমিতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার কমে যায়। জমিতে অপ্রয়োজনীয় রাসায়নিক সার ও কীটনাশক এর ব্যবহার কম লে একদিকে যেমন মাটি ও পরিবেশ দূষণ কম হয় তেমনই বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন হয়। আর এর জন্য দরকার মাটি পরীক্ষা । যার মাধ্যমে কৃষক তার জমিতে উপস্থিত পরিপোষক পদার্থের সঠিক মাত্রা, পিএইচ, জৈব কার্বন ইত্যাদি সমন্ধে চাষীরা জানতে পারবে আর সেই মত ফসল উৎপাদন করতে পারবেন।