জিরো পয়েন্ট নিউজ -আলেক শেখ, কালনা, ৫ অগস্ট ২০২০:
পতাকা উত্তোলন, শহীদবেদিতে মাল্যদান, স্মৃতিচারনের মধ্য দিয়ে কালনার দুই শহীদ পিনাকী চক্রবর্তী ও গফুর শেখকে শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয়। সিপিআইএমের কালনা শহর এরিয়া কমিটির উদ্যোগে বুধবার গোপালবাড়ির সামনে এবং পার্টির কালনা-১ নং এরিয়া কমিটির উদ্যোগে শ্রীরামপুর ও বাঘনাপাড়া ষ্টেশনে পৃথকভাবে গফুর শেখের স্মরনানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ সালের ৫ই আগস্ট সন্ধ্যায় অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র পিনাকী চক্রবর্তী টিউস্যুনি পড়ে বাড়ি ফেরার পথে কালনা শহরের গোপাল বাড়ির কাছে আক্রান্ত হন। আধা ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসের যুগে কংগ্রেসের ঘাতক বাহিনী তাঁর পেটে চাকু মেরে ভুঁড়ি বার করে দেয়। উদ্ধার করে কেউ যাতে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে না পারে, তারজন্য এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি করা হয়। শেষে কালনা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আহত পিনাকী চক্রবর্তীকে উদ্ধার না করে তার উপর দিয়ে জিপ চালিয়ে দেয়। শেষে মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে নিয়ে যায় পুলিশ।
১৯৭১ সালের ৪ঠা আগস্ট কংগ্রেসী গুণ্ডাবাহিনীর হাতে কালনার শ্রীরামপুর গ্রামে গফুর শেখ শহীদ হন। কৃষকনেতা প্রয়াত হরেকৃষ্ণ কোনারের সহকর্মী শহীদ গফুর শেখের স্মৃতিচারনা করে বক্তব্য রাখেন–পার্টি নেতা শুকুল শিকদার, আলিম শেখ, বিকাশ নাথ, সামসের শেখ প্রমুখ। অন্যদিকে পিনাকী চক্রবর্তীর স্মৃতিচারণা করে বক্তব্য পেশ করেন– অরুণাভ চক্রবর্তী, মৈনাক চক্রবর্তী প্রমুখ। তাঁরা বলেন– সাধারণ মানুষের স্বার্থই, কমিউনিস্টদের স্বার্থ। তাঁদের আলাদা কোন স্বার্থ নেই। তাই সাধারণ মানুষের স্বার্থে কাজ করতে পারলে তবেই শহীদদের প্রকৃত সম্মান জানানো হবে। বর্তমানে দেশ ও রাজ্য এক চরম সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে | অপরিকল্পিত লকডাউনের কারনে মানুষের হাতে কাজ নেই। কোন রোজগার নেই। হাতে পয়সা নেই। তাই সামান্য রেশনে ও নেতা-নেত্রীদের ভাষণবাজিতে সাধারণ মানুষের পেট ভরবে না। এমতাবস্থায় ছয় মাসের জন্য মাসে প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি খাদ্যশস্য, আয়কর না দেওয়া পরিবারগুলোকে মাসে ৭৫০০ টাকা ভাতা, তিন মাসের বিদ্যুৎ বিল মুকুব করতে হবে। এই দাবিগুলোর সপক্ষে মানুষকে সংগঠিত করে জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে।