জিরো পয়েন্ট নিউজ – স্বদেশ মজুমদার, ১০ জানুয়ারি ২০২১:
প্রকৃতিতে বিরাজ করছে শীত ঋতু। নানা কারণে এই ঋতু অনেকেরই প্রিয়। বিভিন্ন জাতের শাক-সবজি, হরেক রকম পিঠাপুলি, লেপ-কম্বলের নিচে আরামদায়ক দীর্ঘ ঘুম আর আয়েশি গরম কাপড়চোপড়ে শীতকাল উপভোগ করে তারা। কিন্তু উপভোগ্য এই ঋতু একশ্রেণির মানুষের জন্য নিদারুণ কষ্ট নিয়ে আসে।
রবিবার মেমারি পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ড তৃণমূল যুব কংগ্রেস কমিটির উদ্যোগে চেকপোষ্ট দিঘীরপাড়ে পৌষ পার্বণ উপলক্ষে প্রায় ২০০ জন নাগরিককে কম্বল প্রদান করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেমারি শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অচিন্ত্য চট্টোপাধ্যায়, সহ সভাপতি আশিষ ঘোষ দোস্তিদার, মেমারি শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সৌরভ সাঁতরা, পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সুপ্রিয় সামন্ত, স্বপন ঘোষাল, প্রাক্তণ কাউন্সিলর রণজিৎ বাগ, প্রতিমা বসাক, বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি মহাদেব টুডু প্রমুখ ব্যক্তি বর্গ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করে নেন তৃণমূল যুব কর্মী বিশ্বজিৎ বাগ ও সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শহর তৃণমূল ছাত্রপরিষদের কর্মী সৌরভ ঘোষ।
যুব সভাপতি সৌরভ সাঁতরা জানান যে, মা মাটি মানুষের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ৩৬৫ দিন তৃণমূলের যুব কর্মীরা মানুষের পাশে থেকে কাজ করে চলেছেন।
শহর সভাপতি অচিন্ত্য চট্টোপাধ্যায় তার বলিষ্ঠ বক্তব্যে বলেন, ৩৪ বছর বামফ্রন্টের সময় রাজ্যবাসীর দুঃখ দুর্দশা তৃণমূল সরকার এই ১০ বছরে অনেকটাই মিটিয়ে ফেলেছে। আরও কিছু কাজ বাকী তাই আমরা দুয়ারে সরকার কর্মসূচীর পাশাপাশি পাড়ায় পাড়ায় সমাধান এর মাধ্যমে বাকী কাজগুলো খুব শীঘ্রই সম্পন্ন করবো। কিন্ত বিজেপি রাজ্যের উন্নয়ণের মানচিত্রে কোথাও ছিল না তাদের কোন ভূমিকা নেই। মানুষকে ধর্ম নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছেন, মানুষ তার জবাব দেবেন।
জেলায় সাধারণ সম্পাদকের সদ্য দায়িত্ব প্রাপ্ত সুপ্রিয় সামন্ত বলেন মেমারি পৌর এলাকায় তৃণমূলের সময় রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে লাইট-জলের যে উন্নয়ণ হয়েছে বামফ্রন্ট আমলে হয়নি। লকডাউনের সময় কোন বিজেপি নেতা কে দেখা যায়নি মানুষের পাশে থাকতে আজ তারা ক্ষমতা দখলের জন্য মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
শীতবস্ত্র প্রদান কর্মসূচী হলেও মূলত একুশের নির্বাচনকে পাখির চোখ করে রাজ্য সরকারের উন্নয়ণের খতিয়ান তুলে ধরা হলো মানুষের সামনে। এখন অপেক্ষা শুধু সময়ের মানুষ কি ভাবছে।