02/05/2024 : 3:01 PM
আমার দেশকৃষি-পরিবেশ

কৃষকদের স্বল্প মূল্যে সার সরবরাহ

জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, দিল্লী, ১৭ জুন ২০২১:


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটির বৈঠকে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ফসফোটিক এবং পটাশিক (পি অ্যান্ড কে) সারের জন্য পরিপোষক ভিত্তিক ভর্তুকির (নিউট্রিঅ্যান্ট বেসড সাবসিডি-এনবিএস) হার অনুমোদন করা হয়েছে। এনবিএস-এর অনুমোদিত হার নিয়ে যেদিন বিজ্ঞপ্তি জারি হবে সেদিন থেকেই তা কার্যকর হবে। বিভিন্ন সারের ক্ষেত্রে প্রতি কেজি হিসেবে ভর্তুকির পরিমাণ হল :
নাইট্রোজেনের জন্য ১৮.৭৮৯ টাকা, ফসফরাসের জন্য ৪৫.৩২৩ টাকা, পটাসের জন্য ১০.১১৬ টাকা এবং সালফারের জন্য ২.৩৭৪ টাকা।


কেন্দ্র ইউরিয়া এবং ২২ রকমের পি অ্যান্ড কে সার কৃষকদের কাছে ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহ করে। ২০১০ সালের পয়লা এপ্রিল থেকে এনবিএস যোজনায় পি অ্যান্ড কে সারের ভর্তুকি নির্ধারিত হয়। কৃষক বান্ধব নীতি অনুযায়ী সরকার কৃষকদের কাছে স্বল্প মূল্যে পি অ্যান্ড কে সার সরবরাহ করে। সার কোম্পানীগুলি এই ভর্তুকি পেয়ে থাকে যাতে কৃষকদের স্বল্প মূল্যে সার সরবরাহ করা যায়।
বিগত কয়েক মাস ধরে ডিএপি এবং অন্যান্য পি অ্যান্ড কে সারের কাঁচামালের আন্তর্জাতিক মূল্য যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তাই ডিএপি-র দাম বেড়েছে। এসব সত্ত্বেও প্রথমদিকে ভারতে ডিএপি-র দাম বেশি বাড়ানো হয়নি। তবে কিছু কিছু সংস্থা এই অর্থবর্ষের শুরুতে ডিএপি-র দাম বাড়িয়েছে। সরকার কৃষকদের কথা বিবেচনা করে ডিএপি সহ পি অ্যান্ড কে সারের বর্দ্ধিত মূল্যের বোঝা যাতে কৃষকদের ওপর না পরে তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সব সার উৎপাদক সংস্থাগুলিকে বলা হয়েছে কৃষকরা যাতে যথাযথ সার পান তা নিশ্চিত করতে হবে। সরকার এই পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে চলেছে।


ডিএপি-র মূল্য প্রসঙ্গে সরকার সার কোম্পানীগুলিকে তাদের মজুত থাকা ডিএপি পুরনো হারে বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়াও কৃষক সহ দেশের নাগরিকরা কোভিড মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে সমস্যার মধ্যে থাকায় সরকার বিভিন্ন প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। ডিএপি-র দাম ভারতে বেড়ে যাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে সেটি দূর করতে কেন্দ্র এনবিএস প্রকল্পে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়িয়েছে। এর ফলে বর্তমান খরিফ মরশুমে গত বছরের মতোই পি অ্যান্ড কে সার সহ ডিএপি-র সর্বোচ্চ খুচরো মূল্য একই থাকবে। কৃষকদের দূর্দশা লাঘব করতে কোভিড-১৯ প্যাকেজে এককালীন এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কেন্দ্র পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে চলেছে এবং সেইমতো ভর্তুকির হার নির্ধারণ করছে। অতিরিক্ত এই ভর্তুকির ফলে সরকারি কোষাগার থেকে ১৪,৭৭৫ কোটি টাকা বাড়তি খরচ হবে।

Related posts

সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদকে বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জঃ প্রতিরক্ষামন্ত্রী

E Zero Point

১১-১৪ এপ্রিল করোনা টিকা উৎসবঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

E Zero Point

৩০০ একরের ব্রিটিশ কান্ট্রি ক্লাব কিনে নিলেন মুকেশ আম্বানি

E Zero Point

মতামত দিন