03/05/2024 : 8:34 PM
ট্রেন্ডিং নিউজ

আজ বিজ্ঞানের অবদানকে স্মরণ করার দিনঃ জেনে নিন কিছু অজানা তথ্য

জিরো পয়েন্ট বিশেষ প্রতিবেদন, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩:


দেশের বিভিন্ন শিক্ষামূলক, বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত, মেডিক্যাল, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর পালিত হয় জাতীয় বিজ্ঞান দিবস। প্রত্যেক বছর বেছে নেওয়া হয় একটি থিম। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং ঘোষণা করেছেন, জাতীয় বিজ্ঞান দিবস ২০২৩-এর থিম হবে ‘গ্লোবাল সায়েন্স ফর গ্লোবাল ওয়েলবিয়িং’।

জাতীয় বিজ্ঞান দিবস পালনের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয় জড়িয়ে রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে বিশিষ্ট এক ব্যক্তিত্বের নাম। যার আবিষ্কারকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ভারত সরকার ২৮ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ন্যাশনাল সায়েন্স ডে হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ১৯৮৬ সালে।

১৯২১ সালে ভারতীয় বিজ্ঞানী সি ভি রামন ইউরোপ ভ্রমণে গিয়েছিলেন। তখন তিনি ভূমধ্য সাগরের জলের রং ট্রান্সপারেন্ট সারফেস নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। আর সেই গবেষণা চলতে থাকে দীর্ঘদিন। অবশেষে তিনি আবিষ্কার করেন ‘রামন এফেক্ট’ । স্পেট্রোস্কোপিতে রামন এফেক্টের আবিষ্কার এক দিগন্ত সৃষ্টিকারী বিষয় বলেই আখ্যায়িত হয়েছে ।

‘রামন এফেক্ট’ আবিষ্কার করার জন্য তিনি ১৯৩০ সালে ভৌত বিজ্ঞানে নোবেল প্রাইজ পান। এছাড়া ১৯৫৪ সালে ডক্টর সি ভি রামনকে ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘ভারতরত্নে’ ভূষিত করা হয়। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কমিউনিকেশন ১৯৮৬ সালে ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস হিসেবে ঘোষণা করার জন্য।

প্রথম জাতীয় বিজ্ঞান দিবস ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৭ সাল থেকে NCSTC বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যা প্রসার ও জনপ্রিয় করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান যোগে প্রতিষ্ঠানসমূহকে জাতীয় বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণে পুরস্কার দিতে শুরু করে।

জাতীয় বিজ্ঞান দিবসকে পালন করা হয় মহাসমারোহে। রোজকার জীবনে কুসংস্কারকে দূরে সরিয়ে বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তাভাবনা যাতে নাগরিকদের মধ্যে জাগরিত হয় তাই একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয় এই বিজ্ঞান দিবসে।

 

Related posts

থাইরয়েডে থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রাকৃতিক উপায়

E Zero Point

মে দিবসঃ ভারতের শ্রমজীবী পরিস্থিতি – শ্রমিকরা নিজেই কতটা ওয়াকিবহাল

E Zero Point

আমফানে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে উত্তাল গাইঘাটা বিডিও অফিস

E Zero Point

মতামত দিন