নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইঘাটাঃ ২০শে মে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আমফানে তছনছ হয়ে গেছে পুরো গাইঘাটা এলাকা।মূলতঃ দরিদ্র তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের বাস এই ব্লকে।গ্রামের পর গ্রাম দরিদ্র মানুষের বাসস্থান এলোমেলো হয়ে গেছে এই এলাকায়।ইতিমধ্যে,ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা ঢুকতেও শুরু করেছে।আর সেখানেই বেঁধেছে গোল।স্থানীয় মানুষজন অভিযোগ করছেন, যাদের পাকা বাড়ী, তারা পাচ্ছেন ক্ষতিপূরণের পুরো কুড়ি হাজার টাকা। অথচ যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত তাদের অনেকে আংশিক আবার অনেকে কিছুই পাচ্ছেন না।আর তাতেই গন্ডগোল তুমুল জায়গায় পৌঁছে গেছে।অধিকাংশ পঞ্চায়েতে বিরোধীদল হিসাবে বিজেপি থাকায়, সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী এই প্রক্রিয়ায় বিরোধী দলনেতা বিজেপি সদস্যের ভূমিকা ছিল।ফলে তারা কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে রয়েছে।ফলতঃ লড়াইয়ের ময়দানে এগিয়ে এসেছে সিপিআইএমের নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট।আজ গাইঘাটা বিডিও অফিসে আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষোভের উত্তাল তরঙ্গ আছড়ে পড়ল।প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ জড়ো হলো বিডিও অফিসের সামনে।বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অবিলম্বে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ এবং অঞ্চল ভিত্তিক তালিকা প্রকাশের দাবি করা হয়।শুধু তাই নয়, যে যে এলাকায় যে সমস্ত সদস্য অবৈধভাবে টাকা পাইয়ে দিয়ে কাটমানি নিয়েছেন, সেই সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের গ্রেপ্তার করার দাবিও তোলেন কংগ্রেস ও বামপন্থী নেতারা।এ ছাড়া ক্রমবর্ধমান পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও রাজ্যে করোনা টেস্ট করার ক্ষেত্রে সরকারি উদাসীন’এর বিরুদ্ধে সরব হন নেতারা।সুবিশাল এই গণসমাবেশে ডেপুটেশনে নেতৃত্ব দেন সিপিআইএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রমেন আঢ্য,জেলা কমিটির সদস্য সত্য কপাট,শ্রমিক নেতা কপিল ঘোষ,গাইঘাটা পূর্ব এরিয়া কমিটির সম্পাদক স্বপন ঘোষ,গাইঘাটা পশ্চিম এরিয়া কমিটির সম্পাদক অনুপম বিশ্বাসসহ কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ।
পূর্ববর্তী পোস্ট