26/04/2024 : 7:52 AM
অন্যান্য

কবিতা

মুক্তি


✍️আঞ্জু মোনোয়ারা আনসারী

দোল ফাগুনের আগুন রাত
আকাশের বুকে আস্ত চাঁদ;
পলিপড়া চড়ে, লুটোপুটি জ্যোৎস্না!
প্রকৃতির ফাগরাঙা বেলায় আনন্দোৎসব;
অন্তহীন, অভূক্ত পৃথিবীর নিরন্ন উপবাস।

সীমাহীন দূরত্বের ঝিল-আগুনে–
কিছু আধপোড়া ভালোবাসা,
ভাসা বাতাসে, এখনও পলাশ ফোটায়!
অথচ, মুক্তিস্নানের আকাঙ্খায় নিরন্তর
গোমুখের গবাক্ষ পথে গ্বহর খোঁজে……..


বাতাস আর নৌকার নদীকথা


✍️সুদীপ্ত ভট্টাচার্য্য

তুমি ভাবছো, তুমি সম্পূর্ণ বিসর্জিত
মিশে গেছে গ’লে গেছে মাটি সাজ প্রাচীন মাটিতে
হঠাৎই এমন কিছু ভাগ্য প্রেম করে মানুষের সাথে
অনুঘটকের ইচ্ছে জাগে বিক্রিয়ায় ধ্বংস হয়ে যাই চিরতরে,

নোঙর ছিঁড়ে গেলে কে কার সাথে মিশে যায়!
নদীর গন্তব্যে অনেকেই লিখে ফেলে ইতিহাস
অতৃপ্ত সহবাস টুকু নোঙর ছিঁড়ে গেলেই হয় বলে
অনুঘটকের ইচ্ছে জাগে…
বাতাসের বিছানায় দুপুরের অলসতা রাতের অপেক্ষা করলেও
ফাল্গুন বছরের অপেক্ষায় কোকিল পোষে না,

নৌকা ভর্তি বসন্ত আর নদীর রমণে বাতাস মরে না
শুধু ভালোবাসা ডুবতেই শেখায় বলে
ঘাটে মাটি খুঁজে পায়না নাবিক,
তুমি ভাবছো,,তুমি সম্পূর্ণ বিসর্জিত
বাতাসেরও ডুবতে ভীষন ইচ্ছে
নৌকাডুবি হর-হামেশাই রেওয়াজ—
আসলে বাতাস নদীকে খুব ভালোবাসে।


মাতৃভাষা আমার অহংকার


✍️অর্পিতা চ্যাটার্জী

বাংলা আমার মাতৃভাষা
বাংলা ভালোবাসি,
অভিমানে বাংলা খুঁজি
বাংলা প্রেমে ভাসি।
বাংলা আমার মায়ের আঁচল
বাবার আঙ্গুল ধরা,
আধো মুখের ভাষা দিয়ে
বর্ণমালা পড়া।
বাংলা ভাষায় প্রথম মাকে
আদর করে ডাকি,
বাংলা কে তাই বুকের ভিতর
আগলে ভীষণ রাখি।
বাংলা আমার কৈশোরে তে
প্রথম প্রেমের চিঠি,
বাংলা ভাষার আদরমাখা
কত রকম রীতি।
যতই আসুক ঝড় কি তুফান
জীবন চলার দায়ে,
বাংলা ভাষায় অঞ্জলী দিই
ভারত মাতার পায়ে।।


অধিকার


✍️ব্রততী ঘোষ আলি

তোমার জন্ম এক কন‍্যা রুপে
তাই তোমার বেলায় অনেক নিয়ম
সেই ছোট্ট থেকেই তা প্রমাণ দিতে হয়
উঁচু আওয়াজে কথা বলা তোমার মানা
জোরে হাসলে সেটাও নাকি অপরাধ
তোমার কোন ছেলে বন্ধু থাকলে,
অবশ্যই সমাজের চোখে তুমি
একজন খারাপ চরিত্রের অধিকারী হবেই,
তোমার ইচ্ছাগুলো সবই মূল্যহীন
তোমার আবার অভিমান কিসের?
দুঃখ হলে, কষ্ট পেলে সেটা বলার অধিকার
তোমার নেই এই সমাজে,
তোমার কান্না পেলে তা
চেপে রাখায় তোমার পক্ষে শ্রেয়।
তুমি নিজেও জানতে পারবে না
এইসব বুঝতে বুঝতেই,
তুমি কখন মেয়ে,
মেয়ে থেকে বন্ধু,
বন্ধু থেকে বধূ,
আর সর্বোপরি বধূ থেকে মা হয়ে উঠেছো।
সবকিছু নিপুন হাতে গড়তে গড়তে
সব দায়িত্ব পরিপূর্ণ করতে করতে
যখন সময় আসবে নিজেকে চেনার-বোঝার
তখন খুঁজে পাবে কি তোমার নিজস্ব অস্তিত্ব?
কেউ কি ফিরিয়ে দেবে তোমার অধিকার?


 

Related posts

রোজার ঐতিহাসিক পটভূমি

E Zero Point

“ঘরে থেকেই রক্তদান”, অভিনব উদ্যোগ নিল পল্লিমঙ্গল সমিতি

E Zero Point

মেমারি মিলন সংঘ শহর গ্রন্থাগার থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ দান

E Zero Point