পরাগজ্যোতি ঘোষ; মঙ্গলকোট: লকডাউনে যখন রাজ্যের সমস্ত মানুষ ঘরের ভিতরে কিছু মানুষ কিন্তু রাজ্যের সিস্টেমকে ঠিক রাখার জন্য অবিরত কাজ করে চলেছেন। মঙ্গলকোট বি. ডি. ও. অফিসে সেই চিত্রই দেখা গেল। ব্লকের মূল গেটে রীতিমতো ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকেই ঢুকতে দিচ্ছেন কর্তব্যরত কর্মীরা। তারপর গুটি গুটি পায়ে মূল অফিসে গিয়ে দেখা গেল অধিকাংশ দপ্তরই বন্ধ – চেয়ার গুলো একা একা বসে আছে। দু’জন সিভিক প্রহরারত। কম্পিউটারের সামনে সদা জাগ্রত এ. পি. ও. সুশান্ত প্রামাণিক নিদের্শ দিয়ে চলেছেন কুমার সাহেবকে যিনি মূলতঃ তথ্য আদান প্রদান টা চালান। মিনিট দশেকের মধ্যেই এলেন সেখানে শান্তশিষ্ট ব্যক্তিত্ববান বি. ডি. ও. মুস্তাক আহম্মেদ। জানালেন লকডাউনে এ তো তাদের নিত্য নৈমিত্তিক কাজ। এ. পি. ও. সুশান্ত প্রামাণিক জানান, লকডাউনের সময় যেভাবে কর্মীদের হাজির থাকার কথা সৈই ভাবেই সকলে হাজির থাকছেন। করোনা পরিস্থিতি এখনও পর্যন্ত ভালো মঙ্গলকোটে। এখনও পর্যন্ত করোনার কোনো পজেটিভ খবর নেই। দু’জন কোয়ানটাইন সেন্টারে আছেন। বিদ্যালয় গুলিতে কোয়ানটাইন সেন্টার খোলার যে প্রস্তাব ছিল সে বিষয়ে তিনি বলেন সেটা সম্ভবপর হয়নি। তবে যেখানে সম্ভব সেখানে তারা করেছেন এবং সেখানে ঐ দু’জন আছেন। প্রতিনিয়ত করোনার ডাটা আদান-প্রদান, নজরদারি এবং পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা নিয়োজিত। কুন্দন দাস যিনি মূলতঃ মিড-ডে-মিল দেখা শোনা করেন – জানান বিদ্যালয় গুলিতে যাতে এ সময় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো সকল ছাত্র-ছাত্রী চাল-আলু পায় (৩ কেজি প্রতি স্টুডেন্ট) সেই কাজে তিনি ব্যস্ত। তাছাড়াও অন্যান্য করোনা রিলেটেড কাজও করছেন। বি. ডি. ও. এবং এ. পি. ও. দুজনেই ব্লক কোয়াটারে থাকেন। দুজনেরই সন্তান বেশ ছোটো। লকডাউনে সরকারী নিয়মনীতির প্রয়োগের ক্ষেত্রে দুজনেরই ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আধিকারিকরা যে কতখানি কর্তব্য পরায়ন তার এক জ্বলন্ত উদাহরণ মঙ্গলকোট ব্লক।
পূর্ববর্তী পোস্ট