শনিবার মধ্যরাত থেকে রবিবার রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে না কোনও যাত্রীবাহী ট্রেন। শুক্রবার এই ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক।
শনিবার মধ্যরাত থেকে রবিবার রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে না কোনও যাত্রীবাহী ট্রেন । শুক্রবার এই ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক )। তবে যে ট্রেনগুলি মাঝ পথে থাকবে সেগুলোর গতি স্তব্ধ হবে না। সেই ট্রেন সময় মেনেই গন্তব্যে পৌঁছবে। শুধু কোনও ট্রেন টার্মিনাল থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে ছাড়বে না। এদিন এমনটা জানিয়েছে রেল মন্ত্রকের জারি করা বিবৃতি। ২২ মার্চ, দেশব্যাপী জনতার কার্ফুর ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই উদ্দেশ্য সফল করতে ঘুরিয়ে চাক্কা বন্ধের পথে হাঁটল রেল মন্ত্রক বলে সূত্রের খবর। সেই বিবৃতিতে বলা, যাত্রীদের বরাদ্দ টিকিটের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। এদিকে, কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই ও চেন্নাইয়ের শহরতলির ট্রেন পরিষেবাও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে চলবে কয়েকটা লোকাল ট্রেন।
জানা গিয়েছে, রবিবার ভোর ৪ টে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত টার্মিনাল ছাড়বে না কোনও দুরপাল্লার মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করতে সব স্টেশনকে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ পাঠিয়েছে রেল।
শনিবার মধ্যরাত থেকে রবিবার রাত দশটা পর্যন্ত প্যাসেঞ্জার, এক্সপ্রেস, লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছে৷ রবিবার ভোর চারটে থেকে মেইল এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে যাবে৷ শহরতলিতে লোকাল ট্রেন চলবে নামমাত্র৷
শনিবার রাত বারোটার পর থেকে কোনও ট্রেন পরিষেবা আর পাওয়া যাবে না৷ মেল, এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি আর পরিষেবা দেবে না৷ ভোর চারটের পর থেকে পথে থাকা মেইল, এক্সপ্রেস ট্রেন যে স্টেশনে থাকবে, সেখানেই দাঁড়িয়ে যাবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে৷ আবার রাত দশটার পর সেই ট্রেনগুলি যাত্রা শুরু করবে৷ পাশাপাশি শহরতলীর জন্য যে সমস্ত লোকাল ট্রেন সাধারণ দিনের জন্য বরাদ্দ থাকে, তা ওই দিন থাকবে না৷ ছুটি দিনে যে লোকল ট্রেন যাতাযাত করে, সেই ট্রেনগুলিও পাওয়া যাবে না৷ ন্যূনতম দেওয়া হবে পরিষেবা৷ খুব অল্প পরিমাণে চলবে লোকাল ট্রেন৷
এছাড়াও রেল স্টেশনে যে সমস্ত ফুড প্লাজা, জন আহারের ব্যবস্থা আছে আইআরসিটিসির, সেই সমস্ত দোকানগুলি রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা করা হয়েছে৷ রাজধানীর, দুরন্ত, শতাব্দি এক্সপ্রেসের চা-কফি বিস্কুটের মত ন্যূনতম খাবার দেওয়া হবে৷ যাত্রীরা অন্য কোন খাবার পাবেন না৷
এযাবৎকাল এদেশে করোনা সংক্রমণের জেরে আক্রান্ত ২২০। মৃত ৪। বিশ্বব্যাপী এই আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়িয়েছে। মৃত প্রায় ৭ হাজার। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই ভাষণে তিনি রবিবার, ২২ মার্চ, দেশবাসীকে ১৪ ঘণ্টার জন্য কার্ফু পালনের আবেদন করেছেন। রবিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা, প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে পা রাখতে অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। নাগরিকদের থেকে দু’সপ্তাহ সময় চেয়ে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আবেদন, “রবিবার বিকেল ৫টায় জরুরি পরিষেবার সঙ্গে জড়িতদের অভিবাদন জানাব। থালা, বাসন বাজিয়ে কিংবা হাততালি দিয়ে তাঁদের কর্তব্য প্রতি দায়বদ্ধতাকে আমরা সম্মান জানাব।”