07/05/2025 : 2:00 AM
অন্যান্য

রিপোর্ট আসার আগেই মৃত দেহ সৎকার নিয়ে রণক্ষেত্র আলিপুরদুয়ার

বিশেষ প্রতিনিধ, আলিপুরদুয়ার: লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার আগেই কোভিড হাসপাতালে মৃত ব্যক্তিকে কবর দিতে গিয়ে জনতা পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের শালকুমার ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানপাড়া। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান লাগোয়া ওই এলাকায় জনতা-পুলিশ সংঘর্ষে জখম হয়েছেন অন্তত ২২ জন পুলিশ কর্মী। এদের মধ্যে এক পুলিশ কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জখম হয়েছেন মাদারিহাট থানার ওসি ও সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ওসিও। এছাড়া, পুলিশের গুলিতে গ্রামের এক যুবক জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে শাহরুখ মিঁয়া নামের ওই যুবককে। উত্তেজিত জনতা পুলিশের তিনটে গাড়ি ও একটি ছোট বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, “পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর যে অভিযোগ উঠেছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি। জখম পুলিশ কর্মীদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।” এ দিকে যে ব্যক্তির দেহ সৎকার করা নিয়ে এই হুলুস্থুল কাণ্ড, তাঁর দেহে কোভিডের সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা সোমবার জানান, এ দিন বিকেলেই ওই ব্যক্তির করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে। রিপোর্ট নেগেটিভ। রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আলিপুরদুয়ার জেলায় করোনার চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত সরকারি আয়ুষ হাসপাতালে মারা যান ৬০ বছরের ওই প্রৌঢ়। এদিন দুপুরেই ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। তারপর লালারসের নমুনা পাঠানো হয়েছিল পরীক্ষার জন্য। তবে, পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগে রবিবার রাতেই তাঁর সৎকারের ব্যবস্থা করে প্রশাসন। ঠিক হয় জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান লাগোয়া তোর্সা নদীর চরে প্রধানপাড়া এলাকায় সৎকার করা হবে। এরপর রাতেই পুলিশের তিনটে গাড়ি ও একটা বাস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। টের পেয়েই আশপাশের মানুষজন জড়ো হয়ে পুলিশকে দেহ সৎকারে বাধা দেয়। বেগতিক বুঝে পুলিশ লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এলাকার মানুষ। তবে, বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন জেলার স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। সুত্রের খবর, মৃতদেহ রেখে দেওয়ার মতো যে পরিকাঠামো মেডিকেল কলেজগুলোতে রয়েছে সেই পরিকাঠামো আলিপুরদুয়ার জেলাস্তরে নেই। সেই কারণেই মৃতদেহ রেখে সেখান থেকে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায় তা এড়াতেই তড়িঘড়ি রাতেই মৃতের পরিবারকে বুঝিয়ে দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করেছিল জেলা প্রশাসন। আর তাতেই ঘটল বিপত্তি।

Related posts

গুসকরা শহরে “সামাজিক দূরত্ব” না মেনেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সামনে টাকা তোলার লম্বা লাইন

E Zero Point

মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন: সতর্ক থাকুন, ভালো থাকুন

E Zero Point

মেমারি পুরপিতা অভিভাবকের মত দোকানে দোকানে সচেতন করলেন

E Zero Point

মতামত দিন