বিশেষ প্রতিবেদনঃ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের অধীনস্থ স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, তিরুভেনান্থপুরম ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভান্স রির্চাস সেন্টার ফর পাউডার মেটালার্জি এন্ড নিউ মেটেরিয়ালস (এআরসিআই) এবং শ্রী চিত্র তিরুনাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সস, লোহা এবং ম্যাঙ্গানিজ দিয়ে তৈরি একটি যৌগ উদ্ভাবন করেছে। এই যৌগের দ্বারা উৎপাদিত সামগ্রী মানুষের শরীরে চিকিৎসার জন্য রাখা হলে তা, দেহের মধ্যে মিশে যায়।
লোহা, ম্যাঙ্গানিজ, দস্তা বা পলিমার, মানুষের শরীরে চিকিৎসার কারণে ঢোকানো হলে সেগুলি মানব দেহে মিশে যায়। বর্তমানে চিকিৎসার জন্য যে সমস্ত ধাতব পদার্থ মানুষের শরীরে ঢোকানো হয়, সেগুলি চিরস্থায়ীভাবে থেকে যায় এবং দীর্ঘমেয়াদী ক্ষেত্রে তার থেকে নানা রকমের শারীরিক জটিলতার সৃষ্টি হয়।
এআরসিআই –এর বিজ্ঞানীরা লোহা এবং ম্যাঙ্গানিজের সঙ্করধাতুটি দিয়ে তৈরি স্টেন্ট বা অন্যান্য সামগ্রী তৈরি করে দেখেছেন, সেগুলি আস্তে আস্তে শরীরের মধ্যে মিশে যায়। এই সঙ্করধাতুতে ম্যাঙ্গানিজের পরিমাণ থাকে ২৯ শতাংশ আর লোহা থাকে ৭১ শতাংশ। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, এই ধাতব যৌগ ৩ – ৬ মাসের মধ্যে তার রাসায়নিক বন্ধনকে ভেঙ্গে ফেলে। পরবর্তীতে ১ – ২ বছরের মধ্যে সেগুলি শরীরে বিলীন হয়ে যায়।
মানুষের শরীরে চিকিৎসার কারণে এই সঙ্করধাতু দিয়ে তৈরি জিনিস ঢোকানো হলে, সেগুলি ক্যালসিয়াম এবং ফসফেটের সঙ্গে ক্রমশ মিশে যায় এবং শরীরে পেশীর মধ্যে তন্তুর আকার ধারণ করে।
বিজ্ঞানীরা এখন চেষ্টা চালাচ্ছেন, এই সঙ্করধাতু ব্যবহার করে, বিভিন্ন আকৃতির জিনিস তৈরি করবার, যেগুলি চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করা যাবে। এর মধ্যে রয়েছে, স্টেন্ট এবং অস্থি সংক্রান্ত চিকিৎসার বিভিন্ন সামগ্রী।