21/05/2023 : 11:54 PM
ট্রেন্ডিং নিউজ

গুসকরায় অভাবনীয় জীবনের করুণ ইতিহাস

শেখ নিজাম আলমঃ গুসকরা ১২ নং ওয়ার্ডে রেললাইন সংলগ্ন একটি সঙ্কীর্ণ বাড়ীতে বসবাস করছেন একটি পরিবার। এদের জীবনটা সত্যিই অভাবনীয়। এর সর্বপ্রথম কারণ যে কোন মানুষের পক্ষে এদের বাড়ীতে প্রবেশ করা সম্ভব নয়। কোন আত্মীয় বা সাধারণ মানুষ ইচ্ছে করলেও এদের বাড়ীতে যেতে পারবে না। চার ফুট উঁচুতে বাড়ীর দরজা। কোন সিড়ি নেই।

প্রাক্তন বিধায়ক বাসুদেব মেটের ভাঙা শিলান্যাসের উপর পা দিয়ে উঠতে হবে উঠানে। নীচে ড্রেন। তার উপরে লম্বালম্বিভাবে কোনরকমে এই শিলান্যাসটি রাখা আছে। তার উপর পা দিয়ে আরও দুফুট উঁচুতে বাড়ীর উঠান। কিভাবে ওরা যে ওঠানামা করে তা অভাবনীয়। রেলের জায়গা। তাই এত উঁচুতে বাড়ী করে বসবাস করছেন ৩২ বছর। এই বাড়ীর একটিই দরজা। যা দেখলে অবাক হতে হবে সকলকে। কি করে এত উঁচুতে উঠে বাড়ীতে প্রবেশ করা সম্ভব। ঊর্মিলা মাহাতো তাদের করুণ ইতিহাস জানালেন। তার দুই ছেলে। সোমনাথ মাহাতো ও সূরজ মাহাতো। তার একটি মেয়ে লক্ষী মাহাতো। লোকের বাড়ীতে কাজ করে জীবিকা অর্জন করেন তিনি। ছেলেময়েগুলোকে লেখাপড়া করাতে পারেন নি কোনদিন। তাদেরকেও কাজ করতে হয় বিভিন্ন ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানে। ঊর্মিলা মাহাতোর স্বামী মদ্যপান করে বাইরে পড়ে থাকে। সংসারের প্রতি কোন ভ্রূক্ষেপেই নেই তার। কাজেই স্বামী থাকতেও কপাল খারাপ বলে মন্তব্য করেন ঊর্মিলা দেবী। বর্তমানে বাড়ীটি ভগ্নদশা। যে কোন সময় বাড়ীটি পড়ে যেতে পারে। চারটি পেট চালাতে যিনি হিমশিম খাচ্ছেন,তিনি বাড়ী মেরামত করবেনই বা কি করে? তার উপরে বাড়ী থেকে তাদের উঠানামা দেখলে,অবাক হয়ে বলতে হয়,এটা এদের দ্বারাই সম্ভব। এ দৃশ্য দেখার কৌতুহল হলে গুসকরা রেলগেটের পরে যে সাবওয়ে আছে,সেখানে চলে যান। সাবওয়েতে প্রবেশ করতে গেলেই বাঁ দিকে এই অভাাবনীয় জীবনের করুণ ইতিহাস দেখতে পাবেন।

Related posts

ভাবনাঃ ঈদে সাংবাদিক ও পুলিশের ভূমিকা – সাংবাদিক সেখ নিজাম আলম

E Zero Point

প্রসঙ্গঃ ত্রিবর্ণরঞ্জিত লালচক – কাশ্মীরবাসীর মধ্যে আদৌও কি জাতীয়তাবাদের জোয়ার এসেছে?

E Zero Point

মে দিবসঃ ভারতের শ্রমজীবী পরিস্থিতি – শ্রমিকরা নিজেই কতটা ওয়াকিবহাল

E Zero Point

মতামত দিন