12/02/2025 : 6:07 AM
আমার দেশ

প্রধানমন্ত্রীর খোলা চিঠির পরই দেশে গত ২৪ ঘন্টায় রের্কড সংখ্যক করোনা আক্রান্ত

বিশেষ প্রতিবেদনঃ করোনা ভাইরাসের বিভিষীকাকে সঙ্গে নিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রধান মন্ত্রীত্বের দ্বিতীয় মেয়াদের একবছর পূর্ণ হয়ে গেল। এই পরিস্থিতিতে তিনি আজ ভারতবাসীর জন্য একটি খোলা চিঠি লিখে নিজের বার্তা দিয়েছেন।

তিনি লিখেছেন, “সাংঘাতিকভাবে ভুগতে হচ্ছে” আর তার কয়েকঘন্টা পরই গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ৭,৯৬৪ – যা আজ পর্যন্ত সর্বাধিক। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৬৫ জনের। এখনও পর্যন্ত ১,৭৩, ৭৬৩ জন করোনা আক্রান্ত ও ৪৯৭১ জনে মৃত্যু হয়েছে দেশে।

এমতাস্থায় আগামীকাল শেষ হচ্ছে লকডাউন 4.0। এরপর কি ঘোষণা হবে উদগ্রীব হয়ে তাকিয়ে আছে সমগ্র দেশবাসী।

আজ দেশবাসীকে খোলা চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী লিখলেন,  ‘আমি দিন-রাত কাজ করি৷ আমার মধ্যে কিছু ঘাটতি থাকতে পারে, কিন্তু আমাদের দেশের কোনও ঘাটতি নেই৷ আমার আপনাদের উপর বিশ্বাস আছে, আপনাদের ক্ষমতা ও যোগ্যতা আমার চেয়ে অনেক বেশি৷’

গতবছর অনেকগুলো ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং দ্রুত অগ্রগতির দিকে এগোনোর চেষ্টা করা হলেও হঠাৎ করেই সবকিছুতে বাদ সেধেছে করোনা ভাইরাস নামের মারাত্মক সংক্রামক রোগটি। দেশকে এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বর্তমান পরিস্থিতি। আর এই করোনা সঙ্কটের ফলে “সাংঘাতিকভাবে ভুগতে হচ্ছে” দেশের পরিযায়ী শ্রমিকদের। তবে শুধু পরিযায়ীরাই নন, এই চরম সঙ্কটে গোটা দেশই ভুক্তভোগী। কিন্তু হতাশার বার্তার মধ্যেও আশার আলো দেখিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বিশ্বাস করেন, ভারত এই অবস্থা থেকে অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে এবং গোটা বিশ্বকে অবাক করে দেবে।

নিজের চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “এই ধরণের মারাত্মক সঙ্কটে কখনোই এমন দাবি করা যায় না যে কেউ কোনও অসুবিধা বা সমস্যায় পড়েননি। আমাদের দেশের শ্রমজীবী মানুষজন, পরিযায়ী শ্রমিক, ক্ষুদ্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এবং কারিগর, হকার সহ দেশের সব ধরণের মানুষই প্রচণ্ড দুর্ভোগ সহ্য করছেন”।

দেশের জনতাকে  উৎসাহিত করতে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, “সারা বিশ্বেই এখন এই মহামারী, এটা অবশ্যই বিশাল এক সঙ্কটের সময়, তবে এই সময়টাই আমাদের জন্যে, সমস্ত ভারতবাসীর জন্যে আরও দৃঢ় সংকল্পের সময়। আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে যে ১৩০ কোটি মানুষের বর্তমান ও ভবিষ্যত কখনই এভাবে প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যেতে পারে না, আমরা ঘুরে দাঁড়াবোই”। গতবছরের এই সময়েই তিনি ফের ক্ষমতায় এসেছিলেন, এই ঘটনাকে দেশের গণতন্ত্রের পক্ষে “স্বর্ণ অধ্যায়” বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর আশা করোনাকে হারিয়ে ভারত আবার জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন অধিকার করবে।

 

Related posts

সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদকে বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জঃ প্রতিরক্ষামন্ত্রী

E Zero Point

তেল আমদানির উপর করোনার প্রভাব

E Zero Point

ওয়েস্ট বেঙ্গল রিয়েল এস্টেট অ্যাপিলেট ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান পদে বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত

E Zero Point

মতামত দিন