স্টাফ রিপোর্টার, মেমারিঃ করোনা ও আমফানের দ্বিমুখী আক্রমনে রাজ্যের মানুষ বিপর্যস্ত। অন্যদিকে লকডাউনের প্রতিবন্ধকতায় বিগত দুমাস রাজ্যের রক্তদান কেন্দ্রে রক্তের অভাব, থ্যালেসেমিয়া সহ অন্যান্য রুগীদের বিপদে ফেলেছে। সেই অভাব পূরণের জন্য মেমারি সম্মিলনী লকডাউন বিধি মেনে আজ পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের সুলতানপুরে দুদিন ব্যাপী রক্তদান শিবির আয়োজন করেছে। মেমারি সম্মিলনীর সভাপতি সেখ সোভান জানান যে, বর্ধমান শহীদ শিবশঙ্কর সমিতির রশ্মি ব্লাড ব্যাঙ্কের সহযোগিতায় আজকের রক্তদান শিবিরে ৩২ জন পুরুষ ও ১০ জন মহিলার রক্ত গ্রহণ করা হয়েছে। লকডাউনের নিয়মাবলী মেনে এই রক্তদান শিবির আয়োজন করা হয়েছিল, তাই এলাকার অনেক মানুষের আগ্রহ থাকলেও রক্ত সংগ্রহ করা যায়নি। তাদের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে আগামী কাল আবার রক্ত নেওয়া হবে।সংস্থার সদস্য দ্বারা সুসংগঠিত রক্তদান শিবিরে প্রত্যেক ব্যক্তির থার্মাল স্ক্রিনিং এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত শুদ্ধিকরণ করা হয়। প্রথম দিনের শিবিরে উপস্থিত ছিলেন মেমারি পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য সুপ্রিয় সামন্ত, মেমারি-১ ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি নিত্যানন্দ ব্যানার্জী, সমাজসেবী শুভেন্দু গুহ ।মেমারি সম্মিলনীর মুখ্য উপদেষ্টা মহঃ আবু হোসেন জানান, আমাদের দেশে ধর্ম, বর্ণ, জাতি অনেক আছে কিন্তু সকলের দেহে একই রক্ত প্রবাহিত, রক্তের কোন ধর্ম-বর্ণ-জাতি নেই। তবুও বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন দেখি দেশের মানুষ করোনার মত বৈশ্বিক মহামারীতেও ধর্ম খোঁজে, তখন খুবই খারাপ লাগে। মেমারি সম্মিলনীর একটাই লক্ষ্য সম্প্রীতির বাতাবরণে সমাজের হয়ে সেবামূলক কাজ করে যাওয়া।
সংস্থার সম্পাদক সেখ সুরজ জানান যে, বিগত লকডাউন চলাকালীন প্রায় ১ মাস ধরে মেমারি সম্মিলনীর পক্ষ থেকে প্রতিদিন ৮০০-৯০০ পথবাসী, নিম্নবিত্ত, দিনমজুরের মধ্যাহ্নভোজনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।