24/04/2024 : 5:08 PM
জীবন শৈলীস্বাস্থ্য

মহামারীর মোকাবিলা করার জন্য আমাদের নিজেদের কিছু অভ্যাস বদলাতে হবেঃ কে বিজয় রাঘবন

৭০ দিন লকডাউনের পর আনলক-১ শুরু হয়েছে। সরকারীভাবে পঞ্চম দফার লকডাউনে নিয়ন্ত্রিতভাবে অর্থনীতি ও স্বাভাবিক জীবন যাত্রা পরিচিত ছন্দে ফিরে আসছে। নতুন স্বাভাবিক জীবনের এটি সূচনা। বিশেষজ্ঞ ও আধিকারিকরা ‘ভাইরাসের সঙ্গে বেঁচে থাকার পদ্ধতি শেখা’র বিষয়ে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন। এখনো এই ভাইরাসের টীকা আসতে দেরী আছে। কেন্দ্রের মূখ্য বিজ্ঞান উপদেষ্টা অধ্যাপক কে বিজয় রাঘবন ভাইরাসের সঙ্গে বেঁচে থাকার পাঁচ রকমের পদ্ধতির বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানান।

অধ্যাপক রাঘবন বলেন, এই মহামারীর মোকাবিলা করার জন্য আমাদের নিজেদের কিছু অভ্যাস বদলাতে হবে।

১- বাড়ির বাইরে বের হলে মাস্ক পরতে হবে
মানুষ যখন কথা বলে তখন মুখ থেকে হাজার খানেক থুতুর ফোঁটা বের হয়। নোভেল করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তিদের ওই থুতুর মধ্যে হাজার হাজার জীবাণু থাকে। থুতুর বড় ফোঁটাগুলি এক মিটারের মধ্যে মাটিতে পড়ে যায়। কিন্তু ছোট ফোঁটাগুলি বদ্ধ জায়গায় দীর্ঘক্ষণ বাতাসে ভেসে থাকে। এই ভাইরাসে সংক্রমিতদের অনেকের কোন বাহ্যিক লক্ষণ দেখা যায় না। তাই অনেকে বুঝতেও পারেন না, তিনি সংক্রমিত হয়েছেন, কি না। তাই মাস্ক পরে থাকলে নিজে  এবং অন্য লোকও সংক্রমণের থেকে বাঁচতে পারবেন।

২- হাত ধোয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে 
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনে ৭৫,৪৬৫ জনের উপর একটি গবেষণা চালিয়ে দেখেছে, নোভেল করোনা ভাইরাস মুলত নাকের থেকে জলের ফোঁটা এবং ব্যক্তিগত সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। তাই সংক্রমিত কেউ যখন কারো সংস্পর্শে সরাসরি আসেন, তখন তিনিও সংক্রমিত হন। অথবা যখন কোন সংক্রমিত ব্যক্তি দরজার হাতল, জলের কল ছোঁবেন, সেই জিনিস অন্য কেউ হাত দিলে তারও সংক্রমিত হবার আশঙ্কা থাকে। কারণ স্বাভাবিকভাবেই সেই হাত আমাদের মুখে চলে যায়। এ কারণে কমপক্ষে তিরিশ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধুলে হাতে ভাইরাস থাকলে সেটি ধ্বংস হয়ে যাবে।

৩- সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা
সংক্রমিতের সরাসরি সংস্পর্শে এলে অথবা তার থেকে জীবাণু ছড়িয়ে পড়লে সেই জীবাণু অন্য কারো শ্বাসের সঙ্গে গেলে সে ও সংক্রমিত হতে পারে। দেখা গেছে সংক্রমিত ব্যক্তির থেকে জীবাণু এক মিটার দূর পর্যন্ত যেতে পারে। তাই দোকান-বাজার, অফিস, গণ পরিবহণে এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখা জরুরী। অধ্যাপক রাঘবন জানান, কম বয়সীদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণের লক্ষণ দেখা যায় না। তাঁদের থেকে প্রবীণ নাগরিকরা সহজেই সংক্রমিত হতে পারেন। তাই শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা জরুরী।

 

৪- পরীক্ষা করা এবং সনাক্তকরণ
যদি কেউ কোভিড-১৯ এ সংক্রমিত হন, তাহলে তাঁর দ্রুত মনে করা উচিৎ  তাঁর সংস্পর্শে কারা কারা এসেছেন। এবং সেই সব ব্যক্তিদেরও পরীক্ষা করা উচিৎ। তাহলেই এই ভাইরাসের সংক্রমনকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

 

৫- পৃথক ভাবে থাকা
কেউ যদি সংক্রমিত হন, তাহলে তাঁর তক্ষুণি আলাদা ভাবে থাকা উচিৎ। এর ফলে তাঁর সংস্পর্শে কেউ আসবেন না। এক্ষেত্রে তাঁর চিকিৎসা করারও সুবিধে হবে।

 

কেন্দ্রের মূখ্য বিজ্ঞান উপদেষ্টার দপ্তর  জনবহুল এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি ও পয়ঃনিষ্কাষণ ব্যবস্থার উপর একটি নির্দেশাবলী প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে মুখের আবরণ ঘরে তৈরির বিষয়েও বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছে। বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় এটি পেতে চাইলে এই লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ http://psa.gov.in/

Related posts

কালীপুজো ও বলিদানঃ পশুপ্রেমীরা জেনে রাখুন- বলিদান শাস্ত্রসম্মত

E Zero Point

রান্নাঘরঃ পটলের দোর্মা

E Zero Point

ডায়াবেটিস টাইপ-২ নিরাময়ের উপায় উদ্ভাবন

E Zero Point

মতামত দিন