স্টাফ রিপোর্টার, মেমারিঃ আজ সকালে মেমারির বিধায়িকা নার্গিস বেগম তার দলীয় কার্যালয়ে তৃণমূল দলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন। সাংবাদিক সম্মেলনের মূল বার্তা ছিল করোনা ও আমফান নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টী কিভাবে বাংলার বদনাম করছেন ও রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত রাজ্যের এই দুই বিপদের কি ভাবে মোকাবিলা করছেন।
বিধায়িকা নার্গিস বেগম জানান, বৈশ্বিক মহামারী করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা যুদ্ধের প্রধান সেনাপতি হিসাবে দিন রাত মানুষের মধ্যে থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, আমরা গর্বিত এই লড়াইয়ে করোনা সৈনিক হিসাবে। রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি যখন বাংলাকে উহান অফ ইন্ডিয়া হিসাবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন, বাংলা কে বদনাম করার জন্য, তখন ৬ জুন ২০২০ পর্যন্ত প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুসারে রাজ্যের জনসংখ্যার প্রতি ১০ লক্ষ পিছু পজিটিভ কেসের সংখ্যা ৭৪.৮৭ এবং দেশের পরিসংখ্যানে ১৩ নং স্থানে আছে পশ্চিমবঙ্গ। বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রসরকার রাজ্যে ত্রুটি পূর্ণ কিট পাঠিয়ে বাংলার মানুষের প্রাণ সংশয় তৈরি করার চেষ্টা করেছিল। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলা হাল অনেক ভালো কিন্তু বিজেপি শুধু বাংলাকেই পাখির চোখ করে রেখেছে, বাংলার মানুষ সেটা বুঝছে।
এছাড়াও করোনা, লকডাউন, পরিযায়ী শ্রমিক, শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন, তেলিনিপাড়া, আমফান নিয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষে দ্বিচারিতা মন্তব্যের সমালোচনা করেন বিধায়িকা নার্গিস বেগম। তিনি বলেন বাংলার এই দুর্দিনে যেখানে রাজনীতি করা উচিৎ নয় সেখানে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস সর্বস্তরে রাজনীতি করছেন। এই সময় রাজ্যের মানুষের পাশে তারা না দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করছেন ঠান্ডা ঘরে ও টিভির সেটের সামনে।
বিধায়িকা নার্গিস বেগম বলেন, মেমারি বিধানসভা ক্ষেত্রে লকডাউনের প্রথম দিন থেকে অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ থেকে শুরু করে, শহর স্যানিটাইজেন, বিধানসভা ক্ষেত্রে ৭৩টি পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারিন্টন সেন্টার থাকা-খাওয়া-সুযোগ সুবিধার তদারকি এবং আমফান দুর্গতদের ত্রিপল বিলি করেছি।
বিভিন্ন সাংবাদিকদের প্রশ্নের খুব সহজ-সরল ভাষায় তিনি উত্তর দেন বাংলার এই কঠিন পরিস্থিতিতে করোনার জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও সচেতন থেকে আমাদের মা-মাটি-মানুষের জন্য সব দলকে রাজনৈতিক মতভেদ দূরে রেখে কাজ করে যেতে হবে শুধু বাংলার মানুষের জন্য।