আলেক শেখ, কালনাঃ একদিন পরেই রবিবার পাশের গ্রামে সুপার ভাইজার নিয়ে বিক্ষোভ ফেটে পড়লেন গ্রামের মানুষ। এক ঘন্টা সড়ক অবরোধের পর বিডিও দপ্তরে বিষয়টি মীমাংসা হওয়ার আশ্বাস পেলে অবরোধ উঠে যায়। ঘটনাটি ঘটে রবিবার কালনা-২ পঞ্চায়েত সমিতির অকালপৌষ গ্রাম পঞ্চায়েতের আগড়াদহ গ্রামে। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের অভিযোগ– এই গ্রামের ১০০ দিনের কাজের সুপার ভাইজাররা সম্পুর্ন দুর্নীতিগ্রস্থ। তার তথ্য প্রমান প্রধানের হাতে তুলে দিয়ে সুপার ভাইজার পরিবর্তনের আবেদন জানানো হয়। এই গ্রামের জামতলা থেকে সিংহ বাড়ি পর্যন্ত গত ৩০ শে জুন থেকে ১০০ দিনের প্রকল্পে ক্যানেল সংস্কারের কাজ শুরু হয়। সেখানে পুরাতন সুপার ভাইজারদের মাস্টার রোল হাতে নিয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এলাকার মানুষ। তাঁরা পুরাতন সুপার ভাইজারদের বাদ দিয়ে নতুন ছয়জন সুপার ভাইজার ঠিক করেন। সেখানে একজন সিভিক হাজির হলে–নতুন ছয় জন সুপার ভাইজার নিয়োগের কপি তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি তিনি প্রধানকে দেবেন বলে মাস্টার রোলের বইটাও নিয়ে যান। গ্রামবাসীরা ব্লকের মনরেগার সেলেও নতুন সুপার ভাইজার নিয়োগের কপি জমা দেন। তারপর ওই দিন থেকেই কাজ চলছে। কিন্তু মাস্টার রোল না থাকায় শ্রমিকদের হাজিরা তোলার অসুবিধা হতে শুরু করে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের নিকট মাষ্টার রোল ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন নিবেদনে কোন সারা মেলেনি বলে শ্রমিকদের অভিযোগ। রবিবার শ্রমিকরা মাস্টার রোল ফেরানোর দাবি তুলে শিরিশতলা- বাঘনাপাড়া সড়কের আগড়াদহ বাজারে অবরোধ শুরু করে। সিপিআই এমএল লিবারেশনের নেতৃত্বে একঘন্টা অবরোধ চলার পর থানা থেকে সিভিক দের পাঠানো হয় এবং ফোন করা হয় বলে জানান–নেতৃত্ব রফিকুল ইসলাম। অবরোধকারীদের আশ্বাস দেওয়া হয় সোমবার বেলা ১২ টার সময় বিডিও সাহেব সকলকে ডেকে সমাধান করার চেষ্টা করবেন। এই আশ্বাসে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিয়ে জানান–যদি মীমাংসা না হয় তাহলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন তারা। উল্লেখ্য একদিন আগে শনিবার পাশের গ্রাম কুতুবপুরে বিক্ষুব্ধ মানুষের কাছে তৃণমূলের এক জন বুথ সভাপতি সহ তিনজন সুপার ভাইজার মুচলেকা দিয়েছেন। তাতে তারা সরকারি টাকা আত্মসাৎ করার স্বীকারোক্তি দিয়ে ওই টাকা ফেরানোর কথা লিখে দিয়েছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরের পোস্ট