আলেক শেখঃ একটার পর একটা নির্দ্দেশিকায় চরম বিপাকে পড়েছেন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিক-শিক্ষিকারা। স্বাভাবিক কারনেই তাঁদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। জুলাই মাসে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে মিড-ডে-মিলের চাল আলু ডাল বিলি করার সরকারি নির্দ্দেশ আসে ৬ জুলাই থেকে। সেই মত শিক্ষক-শিক্ষিকারা মিড-ডে-মিলের খাদ্য সামগ্রী স্কুলে স্কুলে সংগ্রহ করে রাখেন। কিন্তু বিতরণের মুখে সরকারি নির্দ্দেশ আসে ৬ নয়, ৮ই জুলাই থেকে মিড-ডে-মিলের খাদ্য সামগ্রী বিলি করতে হবে। কিন্তু তারপর গত মঙ্গলবার আবার সরকারি নির্দ্দেশিকা জারি করে বলা হয় ৮ ই জুলাই নয়, খাদ্য সামগ্রী বিলি করতে হবে ১০ ই জুলাই থেকে। এই রকমভাবে একটার পর একটা নির্দ্দেশিকা জারি করে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের তারিখ পিছিয়ে দেওয়ায় শিক্ষক- শিক্ষিকারা চরম বিপাকে পড়েছেন। কারন বর্ষায় স্কুলে স্কুলে মজুত করা আলু পচে যাওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি খাদ্য সামগ্রী স্কুল থেকে চুরিও হয়ে যেতে পারে। নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সভাপতি রাধেশ্যম দাস জানান–সরকারিভাবে জানানো হয়েছে অনিবার্য কারণবশত এই সূচি পরিবর্তন করা হল। আসল বিষয় স্যানিটাইজার এবং ছাত্রী ছাত্রদের জন্য একটিভিটি ট্যাস্ক প্রশাসনের হাতে এসে পৌঁছয়নি। সেটা নির্ধারিত সময়ে বিদ্যালয় পৌঁছতে না পারার প্রশাসনিক ব্যর্থতা ঢাকার জন্য এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তিনি আরো জানান—আলু ও ডালের মূল্য এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারের গুনগত মান নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে প্রশ্ন ওঠে। তাই ইতিপূর্বেই নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির পক্ষ থেকে জেলা স্কুল পরিদর্শক ও মিড-ডে-মিলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিকারীককে স্বারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট