29/03/2024 : 8:44 PM
আমার বাংলাকালনাদক্ষিণ বঙ্গপূর্ব বর্ধমান

কালনা নতুন বাসস্ট্যান্ডের কাছে এস টি কে কে সড়কের ভয়াবহ অবস্থা

আলেক শেখ, কালনা, ২১ জুলাই:


এস টি কে সড়ক সম্প্রসারণ শুরু হওয়ার পর থেকেই এই সড়ক ভয়াবহ উঠতে শুরু করে।  ধুলো বালি ওড়া,  খানাখন্দে ভরে ওঠা,  দুর্ঘটনা একটার পর একটা লেগে থাকা কোনটাই বাদ যায়নি।  প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারাও একের পর এক সড়ক অবরোধ করে গেছে,  আর প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তালে তাল মিলিয়ে  শুনিয়ে গেছে সড়কের হাল ফেরানোর আশ্বাস বাণী।    সড়কের  হাল ফেরানোর নামে একটার একটা প্রশাসনের পক্ষ থেকে  পর্যালোচলা সভা করা হয়েছে। কিন্তু এস টি কে কে সড়কের অবস্থা  যে তিমিরে ছিল,  সেই তিমিরেই থেকে গেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ।  এই সড়ক নির্মাণের অগ্রগতি নিয়ে গত জুন মাসের ২৫ তারিখে একটি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় পূর্বস্থলী- ১  নং ব্লকের সভাকক্ষে।  এই সভায় অংশগ্রহন করেন– কালনা মহকুমা শাসক সুমন সৌরভ মহান্তি, বিডিও নীতিশ বালা, রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ,  পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারবৃন্দ।  সভা শেষে মহকুমা শাসক  ঘোষণা করেন– সড়কের  খানাখন্দ, গর্ত দ্রুত ভরাট করা হবে এবং রাস্তার পাশ দিয়ে নিকাশি ব্যবস্থা করা হবে যাতে জল বেরিয়ে যেতে পারে। রাস্তার ধারে  সাধারণ মানুষের জমিয়ে রাখা বালি, পাথর সব  সরিয়ে  ফেলা হবে। তিনি আরো  বলেন, কালনা ১ ও ২ নম্বর ব্লক এবং পূর্বস্থলী ১ ও ২ নং ব্লকে  পৃথক ভাবে কাজ শুরু করা হবে।  কিন্তু  সেই সভার প্রায় এক মাস পরেও সড়কের হাল ফেরেনি বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের  অভিযোগ।  সেই অভিযোগ যে অসত্য নয়, তার প্রমান মেলে কালনা নতুন বাসস্ট্যান্ডের  সামনে এস টি কে কে সড়কের অবস্থা দেখেই।  খানাখন্দ নয় এখানে বড় বড় খাদ্যের সৃষ্টি হয়েছে।  তাতে জল জমে জলাশয়ের আকার ধারণ করেছে।  পর্যালোচনা সভার ঘোষণার সাথে সড়কের অবস্থা কোন রকমই মেলানো যাচ্ছে না।   ফলে করোনা সংক্রমণের সাথে তাল মিলিয়ে মানুষের ক্ষোভও  দ্রুত বাড়ছে।   উল্লেখ্য গত ৭ জানুয়ারি   কালনা মহাকুমা  শাসক দপ্তরে অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক সভায়  পি ডব্লিউ ডি (সড়ক) এর ভারপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার  ঘোষণা করেন—-দেড় বছরের মধ্যেই এস  টি কে কে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শেষ হবে।  গুপ্তিপাড়া থেকে ছাতনী ৫৫ কিমি সড়ক সম্প্রসারনের জন্য বরাদ্দ ১৭৫ কোটি টাকা।   এই কাজে সময় দেওয়া হয়েছে দুই বছর, তার মধ্যে ইতিমধ্যেই ছয় মাসের কাজ হয়েছে। আর দের বছরের মধ্যেই  বাকি কাজটি শেষ হবে।  সড়কটি সর্বত্র চওড়া হবে ১০ মিটার।  তিনি সেদিন  প্রশাসনিক পর্যালোচনা সভাগুলির মতই   ঘোষণা করেছিলেন —  সড়কের যেখানে খানাখন্দ আছে তা  সাত দিনের মধ্যে মেরামত করে দেওয়া হবে।

Related posts

ফরাক্কার নিশিন্দ্রা এলাকায়পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ

E Zero Point

রামেশ্বরপুর গোপালনগর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভ মিছিল

E Zero Point

সাতসকালেই দুর্ঘটনার কবলে পান্ডুয়া হাটতলা জি টি রোড সংলগ্ন বেশ কিছু দোকান

E Zero Point

মতামত দিন