জিরো পয়েন্ট নিউজ – আলেক শেখ, পূর্বস্থলী, ১৩ আগস্ট ২০২০:
কাটোয়া-ব্যান্ডেল রেললাইনের নবদ্বীপ ও সমুদ্রগর রেল ষ্টেশনের মাঝে জালুইডাঙ্গা গ্রামের পর এবার ব্যাপক ভাগীরথী নদীভাঙন দেখা দিয়েছে কিশোরীগঞ্জ গ্রামেও। জালুইডাঙ্গায় নদীভাঙন প্রতিরোধের কাজ খুব সম্প্রতি শুরু হলেও অপর পাড়ে অবস্থিত কিশোরীগঞ্জের ভাঙন অব্যাহত। ফলে একে একে নদী গিলে নিয়েছে এই গ্রামের ফুটবল খেলার মাঠ, প্রাথমিক স্কুল, বহু কৃষিক্ষেত। এই ভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে মানুষের বাড়ি-ঘর বিলীন হতে শুধু সময়ের অপেক্ষা। উল্লেখ্য কিছুদিন পূর্বে এখানকার ভাগীরথী নদীর পাড় ভাঙতে ভাঙতে কাটোয়া-ব্যান্ডেল রেললাইনের ২০ মিটারের দূরে চলে আসে। দ্রুত পদক্ষেপ না করলে রেললাইন নদীগর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। ফলে দক্ষিণবঙ্গের সাথে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়। তাই দ্রুত এখানকার নদীপাড় বাঁধাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। ঠিক এই নদীর পাড়ের অপরপাড়ে অবস্থিত পূর্বস্থলী-১ পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত নশরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কিশোরীগঞ্জ। এই গ্রামে ১২০০ সংখ্যালঘু পরিবার বাস করেন। প্রায় মানুষের পেশা চাষ-আবাদ। খেলার মাঠ, স্কুল, নদীভাঙনে বিলীন হওয়ার পর কৃষিজমিও ব্যাপক ভাঙছে। তারপরেই মানুষের ঘর-বাড়ি। এই অবস্থায় এখানকার মানুষের দাবি জালুইডাঙ্গার মতো এখানেও দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধের কাজ শুরু করা হোক। পূর্বস্থলী-১ বিডিও নীতিশ ঢালি বলেন– ওখানকার নদীভাঙনের ব্যাপারে প্রশাসন ওয়াকিবহাল। আমরা ইতিমধ্যেই কিশোরগঞ্জ গ্রামের জন্য সেচ দপ্তরকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।