29/03/2024 : 2:11 PM
আমার দেশ

২০২০ সালে জন প্রশাসনে উৎকর্ষতার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কার

জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, ২৫ অগাষ্ট, ২০২০:


কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি বিভিন্ন সংস্থা এবং জেলাগুলিকে অভূতপূর্ব এবং উদ্ভাবনমূলক কাজের স্বীকৃতি দিতে ২০০৬ সালে কেন্দ্র জনপ্রশাসনে উৎকর্ষতার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কারের সূচনা করেছিল। ২০১৪ সালে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প, উদ্ভাবন এবং উচ্চাকাঙ্খী জেলাগুলির জন্য জেলা কালেক্টরেটদের কাজের স্বীকৃতি দিতে এই প্রকল্পটিকে পুনর্গঠিত করা হয়। ২০২০ সালে জেলাগুলির আর্থিক উন্নয়নে জেলা কালেক্টরেটদের ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিতে এই প্রকল্পের আবারও পুনর্গঠন করা হয়েছে। এ বছর প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় একতা দিবসে অর্থাৎ ৩১শে অক্টোবর গুজরাটের কেভারিয়ার স্ট্যাচু অফ ইউনিটিতে এই পুরস্কার প্রদান করবেন।

২০২০ সালে সিভিল সার্ভেন্টদের কাজের স্বীকৃতি দিতে সর্বাঙ্গীনভাবে এই প্রকল্পটিকে পুনর্গঠিত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে যে বিষয়গুলিকে বিবেচনা করা হয়েছে সেগুলি হল

১. অগ্রাধিকার ক্ষেত্রে সমন্বিত উন্নয়নে মূলধনের যোগানের ব্যবস্থা করা
২. জেলায় স্বচ্ছ ভারত মিশন (গ্রামীন এবং শহরাঞ্চল) জনসাধারণের অংশগ্রহণকে অর্থাৎ ‘জন ভাগিদারী’ হিসেবে উৎসাহিত করা
৩. পরিষেবা প্রদান প্রক্রিয়ার উন্নতি এবং জন-অভিযোগের নিষ্পত্তি
জেলাগুলির সব ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকল্পের রূপায়ণ কতটা হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে পুরস্কার দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হয়েছে। যেসমস্ত ক্ষেত্রগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে সেগুলি বাস্তবায়নের জন্য কতটা মূলধনের যোগান নিশ্চিত করা গেছে, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলিতে জনসাধারণের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা, পরিষেবা প্রদানের উন্নতি এবং জন-অভিযোগের নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে জেলাশাসকের অবদানকে এই পুরষ্কারের মাধ্যমে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

নমামী গঙ্গে প্রকল্পে জেলা স্তরের আধিকারিকদের উদ্যোগকেও এই পুরস্কারের মাধ্যমে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

উচ্চাকাঙ্খী জেলাগুলির কর্মসূচিকে দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য পুরস্কার দেওয়া হবে। গত ২ বছরে প্রকল্পগুলি রূপায়ণের দিকটি এক্ষেত্রে বিবেচিত হবে।

সাধারণভাবে প্রতি বছর উদ্ভাবন ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি মনোনয়ন জমা পরে। জাতীয়, রাজ্য এবং জেলা- এই তিনটি স্তরে পৃথকভাবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে উদ্ভাবনকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কারের একটি পোর্টাল জন-অভিযোগ এবং পেনশন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জঃ জীতেন্দ্র সিং গত ১৭ই জুলাই সূচনা করেন। তারপর থেকে প্রশাসনিক সংস্কার এবং জন-অভিযোগ দপ্তর ভিডিও কনফারেন্স, কল সেন্টারের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছে। এছাড়া  দপ্তরের সচিবদের থেকে রাজ্যগুলির মুখ্যসচিব ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসকদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। এই পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ বাড়িয়ে ২৩শে আগস্ট করা হয়েছিল। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণেরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৭০২টি জেলা এ বছরের পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছে। এরমধ্যে ৬৭৮টি জেলায় ডিস্ট্রিক্ট পারফরমেন্স ইন্ডিকেটরর্স প্রোগ্রাম-এর জন্য বিবেচিত হয়েছে। উদ্ভাবন বিভাগে ৬৪৬টি আবেদন জমা পরেছে। এরমধ্যে ১০৪টি কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানের। রাজ্য স্তরের উদ্ভাবনের জন্য ১৯৩টি এবং জেলা স্তরের উদ্ভাবনের ৬৬০টি আবেদনপত্র জমা পরেছে। নমামী গঙ্গে প্রকল্পে ৪৮টি জেলা এবং উচ্চাকাঙ্খী জেলা কর্মসূচির আওতায় ৮১টি জেলা আবেদনপত্র জমা দিয়েছে।

Related posts

‘হিন্দি দিবস – ২০২০’-তে চলচ্চিত্র বিভাগ রাজভাষায় চলচ্চিত্র প্রদর্শনী

E Zero Point

ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলির সাহিত্যে আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন পুরস্কার দেওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

E Zero Point

জাতীয় প্রেস দিবস : জেনে নিন কেন পালন করা হয় দিনটি

E Zero Point

মতামত দিন