জিরো পয়েন্ট নিউজ – লক্ষণ দেবনাথ, নাদনঘাট, ২৬ অগস্ট ২০২০:
লকডাউনে এখনও পর্যন্ত কোন প্রতিমার অর্ডার নেই। মোটা টাকা লাভের আশায় বাজার থেকে টাকা ধার করে প্রতিবছরের মতই এবছরও প্রায় দেড়শ থেকে দুইসো টি দুর্গা প্রতিমা সঙ্গে কিছু কালী এবং বিশ্বকর্মা তৈরি করেছিলেন নাদন ঘাট মোড় এর মৃৎশিল্পী শম্ভু পাল এবং তার ভাইরা। পুজোর মাত্র আর কটা দিন বাকি কিন্তু পাঁচ মাস লকডাউনে এখনও পর্যন্ত কোন পুজো কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিমার অর্ডার মেলে নি।ফলে কিভাবে ধারের টাকা পরিশোধ করবেন ভেবে কুল পাচ্ছেন না মৃৎশিল্পীরা। চরম অভাবের মধ্যে দিনকাটছে মৃৎশিল্পী, কারিগর সহ তাদের পরিবার।মৃৎশিল্পীরা জানান অন্য বার এই সময়ে সমস্ত প্রতিমা কম বেশি বায়না হয়ে যায়। এবছর এখনও পর্যন্ত কোন ক্লাব, বারোয়ারী এবং পূজা কমিটিগুলো কোন রকমই যোগাযোগ করছেন না।
শম্ভু পাল এবং তার ভাইরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রতিমা তৈরি করে আসছেন।আর এই প্রতিমা তৈরি করেই তাদের আয়ের একমাত্র উৎস।শুধু তিনি নন এই শিল্পের সঙ্গে রয়েছেন অনেক কারিগরও। তিনি বলেন এখনও পর্যন্ত কোন পুজো উদ্যোক্তা এই কোনরকম যোগাযোগ করেননি অনেকে তিনি ফোন করেছেন তারা বলেছেন এই পরিস্থিতিতে কীভাবে পূজো হবে এখনো ঠিক করে উঠতে পারেননি তারা। এদিকে প্রায় পাঁচ মাস চলছে লকডাউন আগের মতো কোন কাজই নেই। অন্য বছর প্রতি সপ্তাহে গৃহস্থের বাড়িতে দু একটা কালী প্রতিমা বিক্রি হত। এবছর এই করোনা ভাইরাসের কারণে পুজো করছেন না বেশিরভাগ মানুষই। কোন কোন ক্ষেত্রে দুই-একজন লুকিয়ে-চুরিয়ে পুজো করে নিচ্ছেন। কিন্তু প্রতিবছর যেভাবে কালি বিশ্বকর্মা সহ দুর্গা প্রতিমার বিরাট চাহিদা থাকে। এবছর সব শেষ করে দিয়েছে এই করোনা ভাইরাস। শম্ভু বাবু এর ঘরে এখনও পড়ে আছে প্রায় ২০০ মত দুর্গাপ্রতিমা। এই প্রতিমাগুলো তৈরি করতে রীতিমত বাজার থেকে মোটা অংকের টাকা ধার করতে হয়েছে। প্রতিমা বিক্রি নেই খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন মৃৎশিল্পী ও তার পরিবার। তিনি বলেন এবছর যা পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে এই প্রতিমা বিক্রির কোন রাস্তাই নেই, জানিনা ,এর পরিণাম কি? তিনি বলেন প্রতিমা যদি বিক্রি না হয় বাজার থেকে যেটা পরিমাণ টাকা ধার করেছেন সেই টাকা কিভাবে পরিশোধ করবেন। কিভাবে তাদের সংসার চলবে,ভেবে পাচ্ছেন না তারা। প্রতিমা শিল্পীরা জানান এই প্রতিমা যদি বিক্রি না হয় মরণ ছাড়া কোনো গতি নেই তাদের।