জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০:
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাশীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার সাব-ইন্সপেক্টর প্রদীপ পালকে ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় তদন্তে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পুরস্কার, ২০২০-তে সম্মানিত করেছে। তাঁর এই সম্মান দুটি মামলার তদন্তের জন্য। একটি হত্যা ও জালিয়াতির এবং আরেকটি অপহরণ ও মৃত্যুর। দুটি ঘটনাই ২০১৬ সালে বারুইপুর পুলিশের অন্তর্গত।
কেস ১ঃ ২০১৬ সালের ৭ জুলাই ভাঙর পুলিশ স্টেশন এলাকার এক বাসিন্দাকে ওই এলাকারই এক ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে। যাঁর সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। হামলার সময় আরও তিনজন তাকে প্ররোচিত করেছিল। আক্রমণের পর গুরুতরভাবে আহত হন সেই ব্যক্তি এবং পরে মারা যান। ভুক্তভোগীর ছেলে সেই চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই তদন্তে ইনভেস্টিগেটিং অফিসার (আইও) হিসাবে ভার দেওয়া হয়েছিল এসআই প্রদীপ পালকে।
বিচারের সময়কালে এসআই প্রদীপ পাল-সহ মোট ২৬ জন প্রধান সাক্ষী ঘটনার পরীক্ষা করেন। জরিমানা পরিশোধ খেলাপি হওয়ার জন্য
২০১৯-এর ২৫ সেপ্টেম্বর বারুইপুর ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট সাজা ঘোষণা করে। মৃত্যুদণ্ড এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা অনুসারে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড। জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাস সাধারণ কারাদণ্ড।
কেস ২ঃ ২০১৬ সালের ১ মে ভাঙর থানা এলাকার এক নাবালক বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় কাউকে না জানিয়ে৷ ২ মে অন্য এক ব্যক্তি তার দেহ শনাক্ত করে এবং ছেলেটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়৷ একটি উৎস এবং কিছু গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এক সন্দেহজনকে আটক করে পুলিশ৷ পরে হত্যাকারী স্বীকার করে যে, ১ মে ছেলেটির হাত বেঁধে, খালে ফেলে দিয়ে তাকে হত্যা করে। সেই অনুযায়ী সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইও হিসাবে তদন্তের দায়িত্ব নেন এসআই প্রদীপ পাল।
এই সময়কালে এসআই প্রদীপ পাল-সহ মোট ২৪ জন প্রধান সাক্ষী বিভিন্নভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮-তে বারুইপুর আদালতের এডিজি রায় দেন- যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা অনুসারে ২০ হাজার টাকার জরিমানা, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সশ্রম কারাদণ্ড। জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড। সঙ্গে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০১ এবং ৪১১ ধারা অনুসারে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ৫,০০০ টাকার জরিমানা ও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এসআই প্রদীপ পাল সমস্ত দিকগুলি খুঁটিয়ে দেখেছেন এবং দুটি তদন্তেই সাফল্য পেয়েছেন। ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই দুটি তদন্তে দক্ষতার জন্য তাঁকে স্বীকৃতি জানিয়েছে।
(সূত্রঃ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ)