27/04/2024 : 3:16 AM
আমার দেশশিক্ষা

নতুন শিক্ষানীতি ২০২০র মুখ্য বিষয়

শিক্ষা মন্ত্রক গত ২৯শে জুলাই ২০২০তে জাতীয় শিক্ষা নীতি এনইপি ২০২০ ঘোষণা করেছে। এটি শিক্ষা মন্ত্রকের https://www.mhrd.gov.in/sites/upload_files/mhrd/files/NEP_Final_English_0.pdf ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। এনইপি ২০২০ বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলি হল :

১. প্রাক প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সর্বস্তরে সকল ছাত্রছাত্রীকে সুযোগ নিশ্চিত করা
২. ৩-৬ বছর বয়স্ক সব শিশুর জন্য গুণমান সম্পন্ন যত্ন এবং শিক্ষা নিশ্চিত করা।
৩. নতুন পাঠক্রম এবং ৫+৩+৩+৪ ব্যবস্থা গ্রহণ।
৪. আর্টস এবং বিজ্ঞানের বিষয়গুলির মধ্যে কোন ফারাক না রাখা, আবশ্যক এবং ঐচ্ছিক পাঠক্রমের মধ্যে কোন ফাঁক না রাখা।
৫. স্বাক্ষরতা সম্পর্কে জাতীয় নীতি মজবুত করা
৬. ভারতীয় ভাষাগুলির ওপর জোর দেওয়া। অন্তত পঞ্চম শ্রেণী কিন্তু অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার মাধ্যম মাতৃভাষা করা।
৭. যেকোন শিক্ষা বর্ষে ২ বার বোর্ড পরীক্ষা
৮. নতুন জাতীয় মূল্যাণ কেন্দ্র পরখ স্থাপন
৯. সামাজিক এবং অর্থনৈতিকভাবে পশ্চাদপদ গোষ্ঠীর জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করা।
১০. পিছিয়ে পরা অঞ্চলগুলির জন্য বিশেষ শিক্ষা অঞ্চল স্থাপন।
১১. শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা।
১২. বিদ্যালয়ে অভ্যন্তরেই যাতে সবকিছু পাওয়া যায় তা নিশ্চিত করা।
১৩. স্টেট স্কুল স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি স্থাপন।
১৪. বিদ্যালয় এবং উচ্চতর শিক্ষা ব্যবস্থায় বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যবস্থা।
১৫. উচ্চশিক্ষায় জিইআর বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা।
১৬. বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার ব্যবস্থা যেখানে যেকোন সময় ভর্তি হওয়া যাবে বা ছাড়া যাবে।
১৭. উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য একটিমাত্র প্রবেশিকা পরীক্ষার ব্যবস্থা।
১৮. অ্যাকাডেমিক ব্যাঙ্ক অফ ক্রেডিট স্থাপন।
১৯. বহুমুখী শিক্ষা ও গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন।
২০. ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন এনআরএফ স্থাপন।
২১. হাল্কা কিন্তু কড়া বিধিনিয়ম।
২২. একটিমাত্র ছাতার মতন প্রতিষ্ঠান রাখা যাদের কাজ হবে উচ্চশিক্ষার প্রসারে।
২৩. মুক্ত এবং দূরবর্তী শিক্ষার প্রসার।
২৪. শিক্ষার আন্তর্জাতীকরণ।
২৫. উচ্চশিক্ষার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হবে পেশাদারী শিক্ষা।
২৬. শিক্ষক শিক্ষণ- ৪ বছরের পাঠক্রম, পর্যায় ভিত্তিক, বিষয় ভিত্তিক।
২৭. একটি ন্যাশনাল মিশন ফর মেন্টরিং স্থাপন।
২৮. স্বশাসিত সংস্থা ন্যাশনাল এডুকেশনাল টেকনোলজি ফোরাম তৈরি যাতে উদারভাবে ভাবনার আদান-প্রদান করা যায়, প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা, শিক্ষণ, মূল্যায়ণ, পরিকল্পনা, প্রশাসনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।
২৯. ১০০ শতাংশ যুব এবং বয়স্ক স্বাক্ষরতা।
৩০. উচ্চশিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ রোধে বিভিন্ন ব্যবস্থা।
৩১. সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একইভাবে একই মনের নিরীক্ষা।
৩২. শিক্ষায় আরও বেশি করে লগ্নির জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলি একসঙ্গে কাজ করবে যাতে শিক্ষা ক্ষেত্রে বরাদ্দের পরিমাণ জিডিপি-র ৬ শতাংশে পৌঁছায়।
৩৩. সেন্ট্রাল অ্যাডভাইজারি বোর্ড অফ এডুকেশনকে শক্তিশালী করা যাতে গুণমান সম্পন্ন শিক্ষার ওপর দৃ্ষ্টি কেন্দ্রীভূত হয়।
৩৪. শিক্ষা মন্ত্রক : শিক্ষা এবং শিক্ষণের ওপর দৃষ্টি ফেরাতে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে শিক্ষা মন্ত্রক হিসেবে আখ্যায়িত করা।
লোকসভায় আজ লিখিত জবাবে এই তথ্য জানালেন মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক।

Related posts

প্রতিকূলতা সত্বেও সবুজ পৃথিবীর সঙ্গে স্বচ্ছ বাতাস এবং নীল আকাশের পাশাপাশি শিল্প কার্যকলাপও সম্ভব : প্রকাশ জাওড়েকর

E Zero Point

আসাম-মেঘালয়ে ২ লক্ষ মানুষ বন‍্যায় ক্ষতিগ্রস্ত

E Zero Point

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটের টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাকড

E Zero Point

মতামত দিন