জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, দিল্লী, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০:
২০২০-২১ অর্থ বর্ষে খরিফ বিপণন মরশুম শুরু হয়েছে। এই মরশুমে পূর্ব নির্ধারিত ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রকল্পে সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রদান করে কৃষকদের কাছ থেকে খরিফ শস্য কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বিভিন্ন রাজ্যের কাছ থেকে পাওয়া প্রস্তাবগুলির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ভিত্তিতে তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা এবং হরিয়ানা রাজ্যে ২০২০-২১ খরিফ বিপণন মরশুমে ১৪.০৯ লক্ষ মেট্রিক টন ডাল ও তৈলবীজ কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে খরিফ শস্য হিসেবে ডাল ও তৈলবীজ কেনার প্রস্তাব এলে সরকার তাতেও অনুমোদন দেবে। মূল্য সহায়ক প্রকল্পের মতো শস্যের নির্ধারিত মান অনুযায়ী ফসল কেনা হবে। এমনকি ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নীচে বাজার দর চলে গেলেও কৃষকদের ওই একই দাম দাওয়া হবে।
২৮শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকার নির্ধারিত সংস্থার মাধ্যমে তামিলনাড়ুতে ৩৩ লক্ষ টাকা মূল্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রদান করে ৪৬.৩৫ মেট্রিকটন মুগডাল কেনা হয়েছে। এতে ৪৮ জন কৃষক উপকৃত হয়েছেন। একইভাবে কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুর ৩,৯৬১ জন কৃষকের কাছ থেকে ৫২.৪০ কোটি টাকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রদান করে ৫,০৮৯ মেট্রিকটন নারকেলের শুকনো শাঁস কেনা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু এবং কেরালায় ১.২৩ লক্ষ মেট্রিক টন নারকেলের শুকনো শাঁস কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
চলতি খরিফ বিপণন মরশুমে হরিয়ানা ও পাঞ্জাবে ২৬শে সেপ্টেম্বর থেকে ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ২৮শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হরিয়ানায় ৩,১৬৪ মেট্রিক টন এবং পাঞ্জাবে ১৩,২৫৬ মেট্রিক টন অর্থাৎ মোট ১৬,৪২০ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানার ১,৪৪৩ জন কৃষকের কাছ থেকে কুইন্টাল পিছু ১,৮৮৮ টাকা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রদান করে ৩১ কোটি টাকা মূল্যে এই ধান কেনা হয়েছে। অন্যান্য রাজ্যগুলিতে ২৮শে সেপ্টেম্বর থেকে ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আগামী পয়লা অক্টোবর থেকে তুলো সংগ্রহ প্রক্রিয়া শুরু হবে। কটন কর্পোরেশন অফ্ ইন্ডিয়া (সিসিআই) পয়লা অক্টোবর থেকে নির্ধারিত মানের তুলে সংগ্রহ প্রক্রিয়া শুরু করবে।