জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, ৩০ অক্টোবর, ২০২০:
করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন যারা, তারা করোনা মুক্ত হয়ে এখন আপাত সুস্থ, তাঁদের সবচেয়ে বেশি বিপদ শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা।
এটি প্রাথমিকভাবে ফুসফুসকে প্রভাবিত করে এবং করোনা থেকে পুনরুদ্ধারকারীরা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে উঠতেও অনেক সময় নেয়। এখন যেকোন জায়গায় করোনায় আক্রান্তর সংখ্যা বেশি, সুতরাং, আমাদের শপথ্ নেওয়া উচিত যে এই বছর করোনা মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এবং আমাদের পুরো পরিবার দীপাবলিতে পটকা ফাটাবো না আতশ বাজী পোড়াবো না এবং নিজের নিজের এলাকাতেও সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করবো, আতস বাজি পোড়ানো থেকে বিরত থাকতে। শুধুমাত্র শব্দ বাজিতেই পরিবেশ এর দূষণ হয় এমনটা নয়। রংমশাল, ফুলছরি, তুবড়ি, চরকি, হাউই এগুলো তেও বায়ু দূষণ হয় অনেক বেশি।
এই মহামারীতে, এই বিষাক্ত গ্যাস ও ধোঁয়া কোথাও কোথাও হোম কোয়ারান্টিনে বাস করা রোগীদের জন্য খুব মারাত্মক হবে। এই বিষাক্ত ধোঁয়ায় আমাদের ভাইবোনদের জীবনের ঝুঁকি ও বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। এই পদক্ষেপটি আমাদের নিজের প্রতিবেশী, গ্রাম এবং শহরের জন্য দুর্দান্ত উদাহরণ হবে।
পরিবেশ বিজ্ঞানী ও সিনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিবেদন অনুসারে, যে কোনো বাজির ধোঁয়া করোনার সময়কালে মারাত্মক বিপদ ডেকে আনবে। দীপবলির সময় আমাদের নিজেদের ও প্রিয়জনদের , বাজির বিষাক্ত ধোঁয়া থেকে বাঁচাতেই হবে। করোনা রুগী যারা লড়াই করছেন বা করোনায় ভুগছেন তাঁদের বাঁচাতেই হবে।
পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষ থেকে বিজ্ঞানকর্মী অমিত বিশ্বাস আবেদন করেন যে, নিজের বাড়ীতে, পাড়ায়, পরিচিতজনদের পটকা ও আতশবাজি ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করুন। পরিবেশ সুস্থ রাখুন এবং করোনার সাথে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে লড়াই করুন।