জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, পূর্ব বর্ধমান, ১৮ জানুয়ারি ২০২১:
সংবাদ সংগ্রহ করা সাংবাদিকের কাজ সকলেই সেটাই জেনে থাকেন।
তার পাশাপাশি নানান সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যে সাংবাদিকরা যুক্ত থাকে তা আবারো প্রমাণ হলো।
আমাদের নিউজ চ্যানেলের সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম ও ত্রিপুরার সাংবাদিক ভানু চন্দ্র ও উত্তম সিনহা তৎপরতায় মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক ফিরে পেল তার পরিবারকে।
জানা যায় মনোরোগী ছেলেকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে আসেন মা।ফেরার পথে শিয়ালদহ রেলস্টেশন থেকে নিখোঁজ হয়ে যান ত্রিপুরার বাসিন্দা ২৪ বছরের ওই তরুণ।
একমাস পর ত্রিপুরার বাসিন্দা মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণ সুব্রত সিনহাকে তার পরিবারের হাতে তুলে দিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতা আমিরুল ইসলাম।
রাস্তা থেকে উদ্ধারের পর দুদিন ধরে আমাদের সংবাদদাতা আমিরুল ইসলামের পরিবার খুব যত্ন সহকারে সুব্রতকে বাড়িতে রেখে দেয়।সোমবার গাড়ি ভাড়া করে বর্ধমান শহরে গিয়ে সূব্রতর পরিবারের হাতে তাকে তুলে দিয়ে এলেন তারা। হারানো ছেলেকে ফিরে পেয়ে প্রচণ্ড খুশি ত্রিপুরার ওই পরিবার।
আমাদের সংবাদদাতা আমিরুল ইসলাম জানান, তিনি শনিবার বাড়ি ফেরার পথে আলিনগর মোড়ের কাছে রাস্তার ধারে বসে থাকতে দেখেন এক অচেনা যুবককে।মানসিক ভারসাম্যহীন বুঝতে পেরে যুবকটির কাছে গিয়ে প্রথমে তার নাম পরিচয় জানার চেষ্টা করেন আমিরুল।
আমিরুল ইসলাম বলেন, ” যুবকটি মাঝেমধ্যে সঠিক কথা বলছিল।মাঝেমধ্যে পাগলামি করতে থাকে।নিজের হাতে ইংরেজি অক্ষরে তার নাম ঠিকানা লেখে।যদিও ঠিকানা অসম্পূর্ণ ছিল।তখন গুগুল সার্চ করে অনুমান করতে পারি বাংলাভাষী হলেও যুবকটির বাড়ি ত্রিপুরায়।”
জানা যায় ত্রিপুরার বীরচন্দ্রনগর এলাকার ওই যুবকের বাড়ি বুঝতে পেরে ত্রিপুরার এক সংবাদমাধ্যমের কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন আমিরুল ইসলাম।
তারপর ওই রাজ্যের উত্তম সিনহা নামে এক সাংবাদিক শনিবার রাতে ভিডিও কলিংয়ের মাধ্যমে নিখোঁজ যুবক সুব্রতর মা শান্তিদেবীর সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন।তখন বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যায়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে শান্তিদেবী তার একমাত্র ছেলে সুব্রতকে কলকাতায় এক মনরোগ বিশেষজ্ঞর কাছে নিয়ে এসেছিলেন।ফেরার সময় গত ১৪ ডিসেম্বর শিয়ালদহ স্টেশন থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় সুব্রত। রেলপুলিশের কাছে নিখোঁজ ডাইরিও করা হয়েছিল। কিন্তু সুব্রতর হদিশ পায়নি তার পরিবার। শনিবার আমাদের সংবাদদাতা আমিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ হলে ছেলের হদিশ মেলে।
এদিন ত্রিপুরা থেকে সুব্রতর জামাইবাবু অঞ্জন সিনহা এবং তুতো দাদা পরিমল সিনহা নিতে আসেন সুব্রতকে।
সুব্রতর পরিবারের লোকজন কেবলমাত্র আমিরুল ইসলাম কে নয় ত্রিপুরার
সাংবাদিকদেরকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ফের আবারো প্রমাণ হলো সাংবাদিকরা কেবলমাত্র খবর সংগ্রহ করে না, সমাজের নানান কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে। ভাতার থেকে আমিরুল ইসলামের রিপোর্ট।