জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, প্রেরণা দে, বর্ধমান, ২০ মার্চ ২০২১:
ব্যস্ত মানুষের জীবন যখন টাচ স্ক্রীণে বন্দী, তখন কিছু মানুষ ব্যস্ত শহর বর্ধমানের মধ্যেই রয়েছে শান্তির ঠিকানা। বর্ধমান পুলিশ লাইনের নিকট শ্রী রামকৃষ্ণ সারদা আশ্রম। শহরের কংক্রীটের জঙ্গলের মাঝে বসন্তের রঙীন স্পর্শে সামান্য রাঙীয়ে দিতে শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণদেবের ১৮৬ তম জন্মতিথি পালন করা হলো এই শান্তি স্থলে।
আশ্রমের বর্তমান সভাপতি সাধ্বী পরিব্রাজকিকা কৃষ্ণা মাতা সন্ন্যাসীনী জানান যে, ১৩৬৬ বঙ্গাব্দে সহৃদয় বর্ধমানবাসীর সাহায্যে এই আশ্রমের জমি সংগ্রহ ও গৃহ নির্মাণ শুরু হয় এবং ১৩৮১ বঙ্গাব্দে মন্দির নির্মাণ শেষ হয়। আশ্রমের প্রতিষ্ঠাত্রী শ্রদ্ধেয়া হিরন্ময়ী দেবী সন্ন্যাসিনী শ্রী করুণাময়ীর মার হাতে আশ্রম পরিচালনার দায়িত্ব ভার অর্পণ করেন।
সাধ্বী তুষ্টি মাতা সন্ন্যাসীনীর সাথে এক একান্ত আলাপচারিতায় জানা যায় শ্রী শ্রী মায়ের এক সময়ের সেবক ও জয়রামবাটী মাতৃমন্দিরের তদানীন্তন অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী গৌরীশ্বরানন্দজী মহারাজ ১৩৮২ বঙ্গাব্দে এই মন্দিরের শ্রী শ্রী মায়ের মূর্ত্তি স্থাপন করেন।
শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণদেবের ১৮৬ তম জন্মতিথি পালন উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই ভক্তের সমাগমে প্রফুল্লিত সাধ্বী সুদ্ধানন্নময়ীপুরী সন্ন্যাসীনী জানান যে বর্তমান পৃথিবীতে এক অস্থির সময় চলছে। মানুষ তার জীবনে নানা পার্থিব সমস্যার সম্মুখীন হয়ে জীবনের মূল লক্ষ্যই ভুলে যাচ্ছে। জীবন জীবিকার জন্য কর্ম করার পর আধ্যাত্মিক জীবন ধারণ পরম শান্তি এনে দিতে পারে মানুষের জীবনে তাই শ্রীশ্রীঠাকুর ও শ্রীশ্রী মায়ে বাণী শ্রবণে ও জ্ঞানলাভ একান্ত জরুরী।
শ্রী রামকৃষ্ণ সারদা আশ্রমের শুভাকাঙ্খী সমাজসেবী জগবন্ধু রায় সকাল থেকেই ভোগ পরিবেশন কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। আশ্রমে একটি হোমিওপ্যাথি চিকৎসক বসার জন্য তিনি যোগাযোগ করে দেন। সদাহাস্যময়ী জগবন্ধু রায় জানান যে, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের একমাত্র মহিলা পরিচালিত শ্রী রামকৃষ্ণ সারদা আশ্রমের সাথে যুক্ত হতে পেরে গর্ববোধ করছেন।