জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, ২১ মে ২০২১:
করোনার পাশাপাশি মিউকরমাইকোসিস বা ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের’ বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে । করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ বাড়ছে। এ সংক্রমণের জেরে বাড়ছে মৃত্যুও। এ পরিস্থিতিতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণকে মহামারি ঘোষণা করতে রাজ্য সরকারগুলোকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মিউকরমাইকোসিস একটি বিরল সংক্রমণ। মিউকর নামে একটি ছত্রাকের সংস্পর্শে এলে এ সংক্রমণ হয়। সাধারণত মাটি, গাছপালা, পচনশীল ফল ও শাকসবজিতে এ ছত্রাক দেখা যায়। অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এআইআইএমএস) জানিয়েছে, মিউকরমাইকোসিস মুখে আক্রমণ করতে পারে। নাক, চোখ ও মস্তিষ্কে এর সংক্রমণ ঘটতে পারে। এ সংক্রমণে সাইনাসের ব্যথা, এক নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, মাথার এক পাশে ব্যথা, ফুলে যাওয়া, দাঁতে ব্যথাসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়। সংক্রমণে রোগী দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারেন।
কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত ডায়াবেটিক রোগীদের যাঁদের স্টেরয়েড দেওয়া হয়, তাঁদের মিউকরমাইকোসিস বা ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে’ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের (এআইআইএমএস) পরিচালক রনদীপ গুলেরিয়া।
রনদীপ গুলেরিয়া বলেন, মিউকরমাইকোসিসের ‘স্পোর’ মাটি, বাতাস; এমনকি খাবারেও থাকে। তবে মানবদেহে এর আক্রমণের ক্ষমতা কম এবং সাধারণত সংক্রমণ ঘটায় না। কোভিডের আগে এ সংক্রমণের ঘটনা ছিল খুবই কম। এখন কোভিডের কারণে বড় সংখ্যায় সংক্রমণের খবর আসছে।
এসব সংক্রমণের পেছনে ‘স্টেরয়েডের অপব্যবহারের’ বড় ভূমিকা রয়েছে বলে জানান তিনি। কোভিডের ক্ষেত্রে ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণে অনেক মৃত্যু হওয়ায় হাসপাতালগুলোর প্রতি সংক্রমণ প্রতিরোধ প্রটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান রনদীপ গুলেরিয়া। রনদীপ গুলেরিয়া বলেন, ‘এ সংক্রমণের পেছনে একটি বড় কারণ স্টেরয়েডের অপব্যবহার। যেসব রোগী ডায়াবেটিক, কোভিড পজিটিভ এবং স্টেরয়েড নিচ্ছেন, তাঁদের ছত্রাক সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এটা প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের স্টেরয়েডের অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে।’