05/12/2023 : 8:26 PM
আমার দেশজীবন শৈলীস্বাস্থ্য

মিউকরমাইকোসিস থেকে নিরাপদে থাকুন, ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের নিয়মিত রক্তের শর্করা পর্যবেক্ষণ করে সজাগ থাকুন

জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, মুম্বাই, ২১ মে ২০২১:


মিউকরমাইকোসিস, যা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ নামে পরিচিত, তা আদৌ কোন নতুন রোগ নয়। করোনা অতিমারির আগেও এই ধরনের ফাঙ্গাস সংক্রমণের খোঁজ পাওয়া গেছে। যদিও এর প্রভাব খুবই কম। তবে বর্তমান কোভিড-১৯ জনিত পরিস্থিতিতে এই ধরনের প্রাণঘাতী ফাঙ্গাস ইনফেকশন অধিক সংখ্যায় পাওয়া যাচ্ছে। করোনা আক্রান্ত রোগীর মধ্যে এই জাতীয় সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে। এর থেকে আমাদের প্রতিহত হওয়া দরকার।

দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসের অধিকর্তা ডাক্তার রন্দীপ গুলেরিয়া গত সপ্তাহে এক সাংবাদিক বৈঠকে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন। পূর্বে ডায়াবেটিস মেলিটাসে আক্রান্ত মানুষের মধ্যে এই মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে যাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ খুবই বেশি। এর পাশাপাশি ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তি যারা কেমোথেরাপি নিচ্ছেন, তাদের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ ঘটতো। কিন্তু বর্তমানে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে এই রোগের লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের পক্ষ থেকে এরকম ২০ জন রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে, যারা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের প্রত্যেকেরই করোনা হয়েছিল। বিভিন্ন রাজ্য থেকেও ৪০০ থেকে ৫০০ জন এইরকম রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে।

আসলে করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ  শরীরের লিম্ফোসাইটের সংখ্যা হ্রাস করতে পারে। শ্বেত রক্ত কণিকার মধ্যে থাকা এই লিম্ফোসাইটের কাজ হচ্ছে শরীরকে জীবাণু যেমন, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবীর আক্রমণের হাত থেকে বাঁচানো। করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে সেজন্য লিম্ফোপেনিয়ার সৃষ্টি হয়। ফলে ছত্রাক আক্রমণের পথ সুগম হয়ে ওঠে।

সুতরাং যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের ক্ষেত্রে এই মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের আক্রমণ ঘটার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

মিউকরমাইকোসিস আক্রান্ত হলে তার বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে এই ধরনের ফাঙ্গাস আক্রমণ করতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে, রাইনো অরবিটাল সেরিব্রাল মিউকরমাইকোসিস বা পালমোনারি মিউকরমাইকোসিস। এছাড়াও এই ধরনের ফাঙ্গাস আক্রমণ খাদ্যনালী, বা ত্বক কিংবা অন্যান্য অঙ্গে হতে পারে।

সেজন্য করোনা আক্রান্ত রোগী এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের খুবই সচেতন থাকতে হবে।

ব্যথা কিংবা চোখ বা নাক লাল হওয়া কিংবা অল্প জ্বর, মাথা ব্যাথা, সর্দি অথবা রক্ত বমি বা শ্বাসকষ্ট হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Related posts

জৈব কৃষিকাজের এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে কৃষিকাজ হাব তৈরি করা হবে

E Zero Point

রান্নাঘরঃ ক্ষীরমোহন

E Zero Point

দেশের মিডিয়ার মুখে কুলুপঃ ধর্ষিত দলিত তরুণীর মৃত্যু, দেশজুড়ে সোস্যাল মিডিয়াতে বিক্ষোভের ডাক

E Zero Point

মতামত দিন