জিরো পয়েন্ট নিউজ, এম. কে. হিমু, মেমারি, ২৯ অগাষ্ট ২০২১:
করোনার জন্য প্রায় দীর্ঘ ১৮ মাস স্কুল বন্ধ। দেশের কিছু রাজ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল চালু হলেও পশ্চিমবঙ্গে এখনও চালু হয়নি। স্কুল চালু হয়নি কথাটা বলা ভুল হবে, অনলাইনে বেসরকারী স্কুল চালু হলেও সরকারী স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য কোন সুবিধা রাজ্য সরকার করেনি বললেই চলে। একটাই অজুহাত করোনা সংক্রমণ। অথচ শাসক দলের রাজনৈতিক সমাবেশ, মিটিং-মিছিল থেকে শুরু করে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে কি রকম স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে তা আমরা দেখতেই পাচ্ছি।
করোনা কালে শিক্ষার প্রতি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের এরকম উদাসীন মনোভাব ছাত্রছাত্রীদের কি ভাবে ক্ষতি হচ্ছে তা হয়তো এখন আমরা বুঝতে না পারলেও ভবিষ্যৎ তার উত্তর দেবে।
শনিবার রাজ্যে পালিত হলো তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস – কিন্তু করোনাকালে শিক্ষা নিয়ে কোন রুপরেখা শীর্ষস্থানীয় নেতা কিংবা ছাত্রনেতাদের দিতে দেখা গেল না। অন্যদিকে সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনে শূণ্য পাওয়া বামফ্রন্টের নতুন চেহারা দেখা গেলো রেড ভলেন্টিয়ার নামে নতুন ব্রান্ডে। যেখানে নবীনরা প্রবীণের সহযোগিতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেলো বিভিন্ন ভাবে। কখনো করোনারুগীদের বিনামূল্যে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া অথবা অসহায় মানুষদের অন্নদান করা।
এরই মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারিতে রেড ভলেন্টিয়ারের উদ্যোগে শুরু হলো দুয়ারে পাঠশালা। লক্ষ্য একটাই স্কুল বন্ধের জন্য যে সকল ছাত্রছাত্রীরা পড়াশুনো ভুলতে বসেছে তাদেরকে একজায়গায় করে শিক্ষার মূল স্রোতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা।
মেমারি রেড ভলেন্টিয়ারের পক্ষ থেকে জানা যায় যে, বিজরার সায়েরের পাড়, আমাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গাঙ্গুরে, মেমারি পৌরসভা এলকায় খাঁড়োর নতুন রাস্তায়, সুলতানপুরের রায় পাড়ায় শুরু করা হয়েছে দুয়ারে পাঠশালা। রেড ভলেন্টিয়ারের ছাত্র যুবরা এই পাঠশালায় বিনামূল্যে শিক্ষা দান করছেন।
সিপিআইএম নেতা সনৎ ব্যানার্জী জানান, রাজ্য সরকার দায়িত্ব যেমন প্রশাসনিক প্রকল্পের সুবিধা প্রদান করা ঠিক তেমনই শিক্ষার সুব্যবস্থা করা। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজোর পর স্কুল খোলার কথা বললেও সেটা কতটা কার্যকরী হবে সে ব্যপারে সন্দেহ আছে।
তিনি আরও জানান, রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার জনগণকে বিনামুল্যে অনেক কিছুই দেবে, কিন্তু শিক্ষা নয়। রাজ্য সরকার করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি যাতে না পায় তার জন্য রাজ্যে বিধিনিষেধ জারি করলেও সেটা মানছেন না তৃণমূলের নেতা-নেত্রী থেকে কর্মীরা।
চিত্র ঋণঃ সুমন হাজরা ও নূর আহামেদ