জিরো পয়েন্ট বিশেষ প্রতিবেদন, দিগন্তিকা বোস, ব্যাঙ্গালোর, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২:
বিশ্ব বেতার দিবস (World Radio Day) সারা বিশ্বে আজকের দিনেই পালিত হয় । এবার থিমটি ‘‘Radio and Trust’’ । ২০১১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ইউনেস্কোর ৩৬ তম সম্মেলনে বিশ্ব বেতার দিবস ঘোষণা করা হয়। বিশ্ব বেতার দিবসের উদ্দেশ্য হল জনমানসে রেডিওর গুরুত্ব সম্পর্কে বেশি করে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া। রেডিও গণ যোগাযোগের এমন একটি মাধ্যম, যার মাধ্যমে অসংখ্য লোকের কাছে বার্তা প্রেরণ করার একমাত্র মাধ্যম। প্রত্যন গ্ৰামে বাসবাস করা লোকেদের যোগাযোগের অন্য কোনও মাধ্যমে ছিলনা সেখানে রেডিও ছিল একমাত্র বিনোদনের উপায়। বিশ্ব বেতার দিবস উদযাপিত হয় ব্যক্তি মতামতের স্বাধীনতা, ও শিক্ষার প্রসারে রেডিওর গুরুত্ব লক্ষনীয়।
প্রতি বছর ইউনেস্কো সারা বিশ্বের রেডিও সম্প্রচার সংস্থা এবং সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় রেডিও দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এছাড়াও এই দিনে যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে রেডিওর গুরুত্ব আলোচনা করা হয় এবং সচেতনতা ছড়িয়ে পড়ে। এটি আরও অবহিত করা হয় যে রেডিও এমন একটি পরিষেবা যার মাধ্যমে কেবল রেডিও ফ্রিকোয়েন্সিই বলা যায় না। বরং, দুর্যোগের সময় যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যমগুলি ব্যাহত হলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদেরও সহায়তা করা যেতে পারে। তা সে রেডিও স্টেশন বা হ্যাম রেডিওর দ্বারাই হোক। কৃষিতেও রেডিওর ভূমিকা রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় তথ্য রেডিওর মাধ্যমে প্রচার করা হয়।
এর মধ্যে রয়েছে উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি, উন্নত বীজ, সময়মতো রোপণ, কৃষি-বন, উন্নত ফসল কাটার পদ্ধতি, মাটি সংরক্ষণ, বিপণন, ফসল-পরবর্তী পরিচালনা এবং বৈচিত্র্যকরণ ইত্যাদি।রেডিওকে পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।কোনো সংবাদ বা জরুরি অবস্থা হলে রেডিওই একমাত্র মাধ্যম যার মাধ্যমে মানুষ প্রথমে সচেতন হয়।বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এটি বিশ্বের ঐক্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
২৪ ডিসেম্বর ১৯০৬ সালে রেডিও বিজ্ঞানী রেজিনাল্ড ফেনসডেন রেডিও সম্প্রচার শুরু করেছিলেন। ১৯১৮ সালে, লি দ্য ফরেস্ট নিউইয়র্কের হাইব্রিজ অঞ্চলে বিশ্বের প্রথম রেডিও স্টেশন শুরু করে। তবে পুলিশ এটিকে অবৈধ বলেছিল এবং এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ভারতের কথা বলতে গেলে ১৯৩৬ সালে ভারতে অফিসিয়াল ‘ইম্পেরিয়াল রেডিও’ শুরু হয়েছিল। যা স্বাধীনতার পরে অল ইন্ডিয়া রেডিও নামে পরিণতি পায়। আজ রেডিও এর তার পরসর বৃদ্ধি করেছে।
বেতার সম্প্রসারণে ভারতীয় বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুর অবদানও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনিই প্রথম বিজ্ঞানী যিনি রেডিও এবং মাইক্রো ওয়েভসের কাজ করেছিলেন। আজ বিশ্ব রেডিও দিবসে রেডিওর বীজ বোপনের কারিগরের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।